আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি প্রাচীন প্রবাদ রয়েছে যে প্রতিভা ছাড়া ইতিহাস তৈরি করা যায় না। প্রতিভাধর মস্তিষ্ক, যেমন আলবার্ট আইনস্টাইন, নিউটন, স্টিফেন হকিং-সহ আরও অনেকে যারা   এখনও বেঁচে আছেন তাঁদের উদ্ভাবন শক্তি এবং ধারণার মাধ্যমে। এই অসাধারণ মানুষরা আমাদের নতুন দীশা দেখিয়েছেন এবং পৃথিবীকে দেখার নতুন পথ শিখিয়েছেন। তাঁদের উদ্ভাবন এবং তত্ত্ব ছাড়া, আমরা কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন করতে পারতাম না। কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন কোন দেশ বেশি প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব তৈরি করে?

 

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে,  এমন একটি দেশ আছে যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি প্রতিভাবান মস্তিষ্ক তৈরি করছে। অবাক হওয়ার বিষয় হল, সেই দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,  চীন বা রাশিয়া নয়,  বরং এটি একটি এশীয় দেশ। এই দেশটি সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান মানুষ তৈরি করছে। বুদ্ধিমত্তা IQ (ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট)-এর মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। যত বেশি আপনার IQ, তত বেশি বুদ্ধিমান হিসেবে আপনি বিবেচিত হবেন।

 

গুরুত্বপূর্ণভাবে উল্লেখযোগ্য যে IQ একটি সংখ্যাসূচক মান যেটার মাধ্যমে বোঝা যায় একজন ব্যক্তি কতটা ক্ষুরধার চিন্তা করতে পারে, যুক্তি তইরি করতে পারে এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান,  Wiqtcom Inc., IQ মূল্যায়ন করে এবং বিভিন্ন দেশের মানুষের IQ স্তর পরিমাপ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি IQ পরীক্ষা গ্রহণ করে,  ডেটা সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে বুদ্ধিমত্তার র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করেছে।

 

Wiqtcom Inc.-এর গবেষণা অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলির বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি IQ স্তর রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে  জাপান,  হাঙ্গেরি,  ইরান,  ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়া IQ স্তরের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। জাপান শীর্ষে রয়েছে, যেখানে মানুষের IQ 112.30অর্থাৎ জাপানের মানুষরা অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাধিক সমস্যা সমাধানের দক্ষতায় এগিয়ে।

 

জাপানের প্রযুক্তি অত্যন্ত উন্নত বলে মনে করা হয়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের থেকেও। তাই,  সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে জাপান বুদ্ধিমত্তা এবং উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয়।