আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাবানলের আগুনে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস। দমকল কর্মীরা দিনরাত এক করে সেখানে কাজ করে চলেছেন। দাবানল সামলাতে গিয়ে জলের যোগান দিতে তারা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। দাবানল ইতিমধ্যে ৩৬ হাজার একরের বেশি জমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ১১ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি। তবে এখনও আগুনকে কীভাবে বাগে নিয়ে আসা হবে তা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন সকলেই।
 
 স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা গিয়েছে প্রশা্ন্ত মহাসাগরের তীরে আগুনের লেলিহান শিখা। মাইলের পর মাইল পুড়ছে নিজের মতো করে। দমকলকর্মীরা দিনরাত এক করেও সামলাতে পারছেন না। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কাছেই তো রয়েছে সমুদ্র। তবে কেন সেখান থেকে জল নিয়ে এই আগুনকে বন্ধ করা হচ্ছে না। 
 
 এর উত্তর হল সমুদ্রের জল দিয়ে অতি সহজেই হয়তো আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে এতে লাভের তুলনায় ক্ষতি বেশি হবে। সমুদ্রের জলে যে নুন রয়েছে তা আগুন নিভিয়ে দিলেও জলের নুন নষ্ট হবে না। উল্টে সেই নুন মাটিতে দ্রুত মিশে যাবে। ফলে এই নুন যদি মাটিতে মিশে যায় তাহলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাবে। যেখানে মাটিতে নুন মিশবে সেখানে বহু বছর ধরে কোনও ফসল চাষ করা যাবে না। ফলে আগুন নেভার পর সেখানে যে খাবারের অভাব দেখা দেবে তাকে সামলানো যাবে না। 
 
 এখানেই শেষ নয় সমুদ্রে জল দমকলের বিভিন্ন যন্ত্রকেও অকেজো করে দেবে। ফলে এই যন্ত্রগুলি আগামীদিনে আর কাজ করবে না। লোহার যন্ত্রে নুন যে পরিমান মরচে ধরিয়ে দেবে যে সেখান থেকে সেগুলি আর ব্যবহার করা যাবে না। 
 
 দাবানলের জেরে গোটা এলাকা এখন বিপর্যস্ত। অন্য এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে সেখানে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি আকাশপথেও জল দিয়ে চলছে কাজ। তবে কখনই সমুদ্রের জল ব্যবহার করছেন না দমকলকর্মীরা। 
