আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরশোলা। জ্বালিয়ে অতিষ্ট করে তুলেছিল নাকি। আর সেই কারণেই সিদ্ধান্ত। আরশোলাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন যুবতী। শুধু তাই নয়। পুড়িয়ে মারতে চেয়ে, যা কাণ্ড করে বসেছেন, তাতে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে প্রতিবেশীদের। মৃত্যু হল কারও, কেউ হাসপাতালে। কেবল একজনের অবহেলা এবং যন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ না জানার ভয়াবহ মাশুল দিতে হল পড়শিদেরও। আপাতত ওই যুবতীর খোঁজ নেই। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানকার এক যুবতী আরশোলা মারতে গিয়ে গোটা বাসভবন জ্বালিয়ে ফেলেছেন। প্রতিবেশীর মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনার জেরে। মা-হারা হয়েছে সদ্যজাত। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ২০ অক্টোবর। বছর ২০'র এক যুবতী পোকামাকড়টি মারার জন্য একটি অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আরশোলা পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। বিপত্তি ঘটে সেখানেই।
আরও পড়ুন: রুপোর মতোই হু হু করে কমে গেল রুপোলি শস্যের দাম! ভাইফোঁটার দিন বোনেদের মুখে হাসি ফোটাল গঙ্গার ইলিশ
কীভাবে ঘটল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই যুবতীর অবহেলার কারণেই গোটা ভবনে আগুন ধরে যায়। জানা গিয়েছে আরশোলায় অতিষ্ট যুবতী হেয়ারস্প্রে এবং লাইটার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি, কোন বড় বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে। ব্যবহারের ত্রুটি এবং অবহেলা, মুহূর্তে আরশোলার বদলে সেখান থেকেই সমগ্র বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ওসান শহরের পুলিশ জানিয়েছে, আগুন দ্রুত ইউনিটটি এবং ভবনের সিঁড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে পালাতে শুরু করেন। কেউ ঝাঁপ দেন ব্যালকনি থেকে, কেউ ছাদ থেকে। ওই ভবনেই থাকতেন বছর তিরিশের এক মহিলা। দু'মাস আগে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সদ্যজাতকে অন্য এক পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে পাঁচতলার জানলা দিয়ে বেরোবার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। স্বামী বেরিয়ে আসতে পারলেও, তিনি পড়ে যান। মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। ঘটনায় অন্তত আরও আটজন অসুস্থ, আহত হয়েছেন। কেউ হড়বড়িয়ে নামতে গিয়ে জখম, কেউ আবার ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পুলিশ যুবতীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
পোকামাকড়ের জ্বালা এবং তা থেকে মর্মান্তিক পরিণতি সংক্রান্ত আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে সম্প্রতি। পেয়িং গেস্ট হিসেবে যে ঘরে থাকতেন যুবক, সেখানকার বিছানায় ছারপোকার উপদ্রব। নিত্যদিন এই ঝামেলা ঘিরে মালিককে নালিশ জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঘরে ছারপোকা মারার কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছিল। পরদিন সকালেই মর্মান্তিক পরিণতি এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের। কীটনাশকের উপস্থিতিতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর এক পেয়িং গেস্টে ২২ বছর বয়সি এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই ছাত্র আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির বাসিন্দা ছিলেন। বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি।
