আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার রাস্তায় হেলমেটবিহীন বাইক চালককে আকছার ফাইন করে থাকে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। হাজারও সতর্কতা সত্ত্বেও হেলমেট ছাড়াও অনেকে বাইক চালান। কিন্তু চারচাকার গাড়ি চালাতেও কি হেলমেট প্রয়োজন। প্রশ্নটা উঠে গেল উত্তরপ্রদেশের আগ্রার এক ব্যক্তিকে দেখে। সোমবার একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মাথায় হেলমেট পরে চালকের আসনে বসে গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। কেন এমন করলেন? ব্যাখ্যা শুনে থ নেটপাড়া।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গুলশন কেন নামের ওই ব্যক্তি সাদা রঙের একটি গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়ে রয়েছেন। হেলমেট পরিহিত গুলশনকে আগ্রার রাস্তায় দেখে অনেকেই এগিয়ে এসে কারণ জিজ্ঞেস করতেই খোলসা করেন গুলশন। তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর তাঁকে জরিমানা করে পুলিশ। গুনে গুনে ১১০০ টাকা দিতে হয়। জরিমানার কারণ দেখানো হয় যে তিনি গাড়ি চালানোর সময় মাথায় হেলমেট পরেননি। চার চাকার গাড়িতে হেলমেট পরার কী দরকার, জানতে চেয়েও লাভ হয়নি। জরিমানার টাকা দিতে হয়।

এরপরেই পুলিশের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে হেলমেট পরেই গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন গুলশন। তিনি বলেন, “সিটবেল্ট পরেই ছিলাম। তারপরেও হেলমেট না পরার কারণে জরিমানা করল পুলিশ। অথচ আমি গাড়িতে বসেছিলাম। 

পেশায় অধ্যাপক গুলশান জানিয়েছেন, তিনি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক এবং জরিমানা আরোপের পর থেকে গাড়ি চালানোর সময় হেলমেট পরেই গাড়ি চালাচ্ছেন। ভবিষ্যতে জরিমানা এড়াতে তিনি হেলমেট পরা অব্যাহত রাখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগেও উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা হেলমেট না চার চাকা চালানোর অপরাধে জরিমানা করা হয়েছিল। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি-র গত বছর মে মাসে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা বাহাদুর সিং পরিহারকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে ট্র্যাফিক পুলিশ। পরিবহনের ওয়েবসাইটে খোঁজ নেওয়ার পর, তিনি দেখতে পান যে অডি চালানোর সময় হেলমেট না পরার কারণে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে।

এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাহাদুর সিং পরিহার একজন ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি, এবং তিনি তাঁর ফোনে চালানের বিষয়ে আপডেট পেয়েছিলেন। তাঁর চালানের কারণ জানার পর থেকে, বাহাদুর গাড়ি চালানোর সময়ও হেলমেট পরতে শুরু করেন।

ট্র্যাফিক পুলিশের চালানে একটি দুই চাকার গাড়ির ছবি থাকলেও, গাড়ির ক্যাটাগরিতে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘মোটর কার’। যদিও এটা স্পষ্ট যে ভুল কারণে চালানটি জারি করা হয়েছিল, তবুও সমস্যা সমাধানের জন্য বাহাদুর সিং পরিহারকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সমাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। জরিমানা পাওয়ার পর, বাহাদুর বিষয়টি পুলিশের কাছে উত্থাপন করেন। তবে, পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা নির্বাচনের পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারবে।