আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ছয় বছর পর হল সাক্ষাৎ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। 


প্রসঙ্গত, শুল্কযুদ্ধের মাঝেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি হলেন দুই দেশের রাষ্ট্রনায়ক। ইতিমধ্যেই দুই রাষ্ট্রনায়ক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসেছেন বলে খবর। 


বুসানের গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করমর্দন করেন ট্রাম্প এবং জিনপিং। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিনপিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘‌আমরা একে অপরকে খুব ভাল করে চিনি। আমাদের সম্পর্ক মজবুত। আশা করছি আমাদের মধ্যে সফল একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। আমরা আজই একটি বাণিজ্যচুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারি।’‌ চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একটি মহান দেশের মহান নেতা’ বলে অভিহিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘‌আমরা ইতিমধ্যেই বহু বিষয়ে সহমত হয়েছি। এখনও আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী দিনেও আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।’‌ অন্যদিকে, জিনপিং বলেন, ‘‌চীন এবং আমেরিকা দুই দেশই মহান। বিশ্বের কল্যাণে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’‌ শেষবার ২০১৯ সালে জাপানের ওসাকাতে জি–২০ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রনায়ক। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এই প্রথম জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প।

 

আরও পড়ুন:‌ ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করছে আমেরিকা!‌ রাশিয়াকে ‘‌ভয়’‌ দেখাতেই নির্দেশ ট্রাম্পের?‌  ...


ট্রাম্প আশাবাদী যে জিনপিংয়ের সঙ্গে ভবিষ্যতেও সুসম্পর্ক থাকবে। একই মত পোষণ করেন চীনা প্রেসিডেন্টও। জিনপিংয়ের কথায়, ‘‌প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনার সঙ্গে দেখা করে আমি খুবই আনন্দিত। অনেক বছর পর আবার আপনাকে দেখে খুব উষ্ণ অনুভূতি হচ্ছে। আপনার পুনর্নির্বাচনের পর থেকে আমরা তিনবার ফোনে কথা বলেছি, বেশ কয়েকটি চিঠি আদান–প্রদান করেছি এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের যৌথ নির্দেশনায়, চীন–মার্কিন সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের ভিন্ন জাতীয় পরিস্থিতির কারণে, আমরা সবসময় একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করি না এবং বিশ্বের দুই শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির মধ্যে মাঝে মাঝেই দ্বন্দ্ব থাকা স্বাভাবিক।’‌ 


বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসার কথা তাঁর। সেই বৈঠক নিয়ে আশাবাদী ট্রাম্প। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। 

 

আরও পড়ুন:‌  ওয়ার্ক পারমিট আর অটোমেটিক রিনিউ হবে না, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে কতটা সমস্যায় পড়বেন ভারতীয়রা?‌ 


প্রসঙ্গত, শুল্কযুদ্ধের মাঝে ট্রাম্প এবং জিনপিংয়ের বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।