আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাজে উৎসাহ না দেখানোয় ২০১৮ সালে বরখাস্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যক্তিই এখন বছরে আয় করছেন ৬৯ লক্ষ টাকা। ৪১ বছর বয়সী শোজি মরিমোটো কিছু না করেই বছরে আয় করছেন এত টাকা! শোজি-কে এখন জাপানের লোকজন ভাড়ায় নিতে চাইছেন। কোনও টান থাকবে না সঙ্গীর প্রতি। নিঃসঙ্গদের সময় কাটানোর বা কথা বলা আদর্শ সঙ্গী হয়ে উঠেছেন শোজি। এই করেই আয় বছরে ৮০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা)।
শোজি বিভিন্ন রকমের পরিষেবা প্রদান করে থাকেন। যেমন, ম্যারথনের ফিনিশিং লাইনে দৌড়বিদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কিংবা ভিডিও কলে মিটিং সারতে হবে যখন তাঁর খদ্দের ঘরের অন্য কাজে ব্যস্ত থাকবেন অথবা খদ্দেরের হয়ে কনসার্টে উপস্থিত থাকতে হবে খদ্দেরের বন্ধুদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য। এই কাজে তাঁর নিয়ম বেশ স্পষ্ট। খদ্দেরের অনুরোধ পূরণ করতে তিনি উপস্থিত থাকবেন যথা সময়ে। তাঁকে যা করতে বলা হবে তাঁর চেয়ে বেশি কিছুই করবেন না। কোনও যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অনুরোধ করা যাবে না তাঁকে।
শোজি জানিয়েছেন, অনেক খারাপ সময়ে মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে। কিন্তু এই কাজ শুরু করার পর তাঁর মন ভাল থাকছে। অনেক কিছু শিখিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অনেক সময় খদ্দেরদের অদ্ভূত দাবিও মানতে হয় তাঁকে। চড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকা, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা বা অচেনা লোকের সঙ্গে কনসার্টে যাওয়া ইত্যাদি। বেশ কিছু ভাল কাজও করতে হয় যেমন। কারও দিন খারাপ গেলে তাঁর কথা শোনা। কিন্তু কোনও অযাচিত উপদেশ দেওয়া যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, রোজ প্রায় এক হাজারেরও বেশি অনুরোধ আসে তাঁর কাছে। প্রথমে দুই থেকে তিন ঘণ্টার পরিষেবার জন্য ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ইয়েন (৬৫ থেকে ১৯৫ ডলার) ধার্য করতেন শোজি। পরে সিদ্ধান্ত নেন, খদ্দের যা খুশি দেবেন তা-ই তাঁর পারিশ্রমিক। এভাবেই গত বছর ৮০ হাজার ডলার আয় করেছেন তিনি।
জাপানে লোক ভাড়া নেওয়ার প্রচলন বহু দিনের। কেউ একাকিত্ব কাটাতে, কেউ বন্ধুর খোঁজে আবার কেউ সাময়িক প্রেমিক বা প্রেমিকা বানাতে টাকা দিয়ে পরিষেবা নিয়ে থাকেন।
