আজকাল ওয়েবডেস্ক:  টানা ১০ মাস ধরে তাঁরা মহাকাশে রয়েছেন। সেটাই তাদের যেন বাসস্থান হয়ে গিয়েছে। তবে এবার নিজের মাটিতে ফেরার পালা। সুনীতা এবং বুচ দুজনেই এখন ঘরে ফেরার প্রস্তুতু চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে মহাকাশকে তারা কতটা মিস করবেন।


টেকনিক্যাল কারণে তাঁদের দুজনকে মহাকাশে ফেলে রেখেই ঘরে ফিরে এসেছে মহাকাশযান। তারপর থেকে তাদের বাসস্থান হয়েছে মহাকাশ। এবার নাসার পক্ষ থেকে তাঁদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ১২ মার্চ নাসার নতুন মহাকাশযানটি দুজনকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য উড়ে যাবে। সেখানে যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ১৯ মার্চ পৃথিবীতে ফিরে আসবেন দুজনে।


নিজের সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছেন তিনি মহাকাশের সবকিছুকেই মিস করবেন। সেখানে এই দীর্ঘসময় ধরে থাকা। এটি যেন জীবনের এক অসাধারণ সময়। চোখ খোলা থেকে শুরু করে ঘুম সবই যেন মহাকাশ তাঁদেরকে আদর করে করেছে। অতল অন্ধকার যেন সেখানে অন্ধকার নয়। এই অভিজ্ঞতাকে তাঁরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মনে রাখতে চান। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">March 4, 2025

 


ঘরে ফিরে ফের একবার নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান সুনীতা। তার সমস্ত আত্মীয়দের সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান। তাঁরাও তার ঘরে ফেরের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। মহাকাশে যে মজা তিনি করেছেন তার কাহিনী তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান। ঘরের পোষ্যটির সঙ্গেও সময় কাটাতে চান সুনীতা। পোষ্যটির সঙ্গে তিনি বাইরে ঘুরতে যেতে চান। 

 


১২ মার্চ নতুন মহাকাশযানটি যাত্রা করবে বলে এখনও পর্যন্ত খবর মিলেছে। নতুন যে মহাকাশযানটি যাবে সেটিতে যাতে কোনও ধরণের ত্রুটি না থাকে সেদিকে নজর দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন আগের মহাকাশযানটি করেই তারা সুনীতাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারতেন। তবে সেটা কেন সম্ভব হল না সেটা তাদের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। 

 


এবারের নতুন বছর সুনীতারা মহাকাশে কাটিয়েছেন। পাশাপাশি স্পেসওয়াক করে তারা নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন। পৃথিবীর মাটিতে এসে সুনীতাদের যে খানিকটা সময় মানিয়ে নিতে লাগবে সেকথা তারা নিজেরাও জানে। নাসা সেই কাজকেই দ্রুত করার দিকে মন দিয়েছে।