আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাঠের মধ্যে গাছ লাগানোর কাজ করছিলেন এক পড়ুয়া। সেখান থেকেই তার হাতে চলে এল অবাক করা প্রাণী। এই প্রাণীটি একটি জীবন্ত ফসিল। এই খবর সামনে আসার পরই তার নাম ছড়িয়ে পড়ল দিকে দিকে।


ভেলভেট কৃমি বা কেঁচোর দেখা সহজে মেলে না। এটি এমন প্রজাতি যে সকলে সকলের নজরে ধরা দেয় না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এক পড়ুয়া তার নিজের বাগান থেকেই ধরে ফেলল এমন একটি জীবন্ত ফসিলকে। ২০২২ সালে স্টেলবচ ইউনিভার্সিটির রোহন বার্নাড নামে এই পড়ুয়া তার বাগানে কাজ করছিলেন। সেখান থেকেই তার নজরে পড়ে এই কেঁচোটি। এটি সহজে ধরা যায় না। কোনও বিপদ দেখলেই অতি সহজে মাটির নিচে চলে যায় এটি। 


এটি কোন প্রজাতির প্রাণী সেটি জানতেই সময় লেগে গেল তিন তিনটি বছর। প্রথমে এটি বুঝতেই পারছিল না রোহন। তবে তিন বছর ধরে নানা পড়াশোনা করে সে এই কেঁচোর প্রকৃতি তার কাছে ধরা পড়ে। এরপরই সে সকলের নজরে চলে আসে।


রোহন বর্তমানে বিএসসি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সে ইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছে। তার অনুমান এই ধরণের কেঁচো ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে দেখা যেত। তারপর ধীরে ধীরে সকলের চোখের আড়ালে চলে যায় সে। এদের নরম দেহ এবং ছোটো ছোটো পা দিয়ে এরা মাটির গভীরে নিজেদেরকে আড়াল করে রেখেছিল। তবে এই জীবন্ত ফসিলকে দেখতে পেয়ে রোহন খুশি। তার এই আবিষ্কার সকলের নজর কে়ডেছে।


কেন ভেলভেট ওয়ার্ম বা কেঁচো এতটা গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে প্রকৃতি থেকে এক সময় এরা হারিয়ে গিয়েছিল। বলা ভাল এরা হয়তো নিজেদেরকে লুকিয়ে রেখেছিল। তবে এরা ফের সকলের সামনে এসেছে এর মানে হল প্রকৃতি নতুনভাবে নিজেকে মেলে ধরছে। তাই এই ধরণের প্রাণীরা অতি সহজেই ফের নিজেদেরকে সামনে নিয়ে এসেছে। এর পিছনে কোন রহস্য রয়েছে সেটাই চিন্তার বিষয় বিজ্ঞানীদের কাছে।