আজকাল ওয়েবডেস্ক: নামার আগের মুহূর্তেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল গোটা বিমান, ভেঙে পড়ল বিমানবন্দরে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। তবে দুর্ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ১৭৯ জনের। ওই বিমানে ছিলেন মোট ১৮১জন, দু’ জন বিমানকর্মী প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।  যদিও বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

 

কাজাখস্তানের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটেনি এখনও, দিন কয়েক আগে দুর্ঘটনার মাঝেই ফের একই ঘটনা। পরপর ঘটে চলা ভয়াবহতা, বীভৎসতায় শিউরে উঠছে বিশ্ব। দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দর। রবিবার ব্যাঙ্কক  থেকে সেখানে ফিরছিল জেজু এয়ার সংস্থার বিমান।  ১৮১ জন যাত্রীকে নিয়ে নামার কথা ছিল বিমানটির। যাদের মধ্যে ১৭৫জন ছিলেন যাত্রী এবং ছয়জন ছিলেন বিমানের কর্মী।  সব ঠিক ছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে নামার ঠিক আগের মুহূর্তে। বিমানবন্দরের রানওয়েতেই দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বলে জানা গিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে। জানা গিয়েছে দেওয়ালে ধাক্কা লাগার পরেই আগুন জ্বলে উঠে বিমানটিতে, তারপরেই সেটি ভেঙে পড়ে রানওয়ের উপরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে বিমানটি দেওয়ালে ধাক্কা দেয়, তারপরেই দু’ টুকরো হয়ে যায় সেটি। কেউ কেউ প্রবল আতঙ্কে বিমান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও জানা গিয়েছে।

 

 দুর্ঘটনার পরেই তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। নেভানো হয়েছে বিমানের । কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অবতরণের সময় বিমানের চাকা খোলেনি, তার ফলে বিমান অবতরণে সমস্যা দেখা যায়। ফলে শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে দুর্ঘটনার মুহূর্তের বেশকিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এটি সেখানকার সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।