আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্দোলনের জুলাই বাংলাদেশে। ঠিক এক বছর আগে এই সময়ে উত্তাল হয়েছিল পদ্মাপার। প্রবল আন্দোলনের মুখে পড়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২ জুলাই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছ'মাসের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। আওয়ামী লিগ বিরোধী এবং পুলিশ প্রশাসন ও তদন্তকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে মামলা হয়েছিল। আওয়ামী লিগের এক নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার এই সংক্রান্ত ফোন আলাপ ফাঁস হওয়ার পর মামলা হয়।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে আটকে রেখে লাগাতার গণধর্ষণ, শেষপর্যন্ত খুন, একসঙ্গে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল আদালত
বুধবার ট্রাইব্যুনাল চূড়ান্ত শুনানি শেষে শেখ হাসিনাকে ছয় মাস এবং অপর আসামিকে দু'মাস বিনাশ্রম কারাদশের সাজা দেওয়া হয়। হাসিনা গদিচ্যুত হওয়ার পর ওই প্রথম কোনও মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করে আদালত।
তারপরেই বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে আরও এক তথ্যও। তথ্য, ২০২৪-এর জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুজিব-কন্যা। মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনা ছাড়াও অভিযুক্ত আরও দুজন। তাঁরা হলেন সে দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের প্রাক্তন আইডিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের প্রাক্তন আইডিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক বলে ঘোষণা করে আদালত।
২০২৪-এর জুলাই মাসে কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে লাগু কোটা নিয়েই ক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায় হাসিনার এক মন্তব্যে। বাংলাদেশের রাস্তায় কাতারে কাতারে মানুষ নেমে আসেন রাস্তায়। আন্দোলন দীর্ঘদিনের। একগুচ্ছ দাবি নিয়ে উত্তাল হয় পরিস্থিতি। প্রাণ যায় বহু মানুষের। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর আগস্টে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে দেশের বাইরে তিনি। প্রায় একবছর ভারতেই মুজিব-কন্যা।
