আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি হল সামরিক শাসন। আচমকাই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগ এনে কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইয়ল মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন এহেন সিদ্ধান্তের কথা। 

 

 


মঙ্গলবার সে দেশে চলছিল বাজেট অধিবেশন। সে নিয়ে সংসদে বাঁধে বাকবিতণ্ডা। তার মাঝেই এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন রাষ্ট্রপতি। বিরোধী দলকে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি বলে দাগিয়ে দিলেন। জাতির উদ্দেশে টিভিতে এদিন ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই ঘোষণা করেন, উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাঁচাতে এবং সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও সুখ কেড়ে নেওয়া রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বিরোধী শক্তি উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকায় তাঁর দেশ পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। তা থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বিরোধীরা মোটেই জনগণের জীবন জীবিকার বিষয়টি নিয়ে ভাবিত নয়। প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন চলছে বর্তমানে। 

 

 


এদিন সংসদে ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি পরের বছরের বাজেট বিল নিয়ে সংসদে বাদানুবাদ চালাতে থাকে। তার মধ্যেই ঘটে এই কাণ্ড। এই ঘোষণার পর বিরোধী দলের তরফে দাবি করা হয়, জরুরি অবস্থা জারি হলে তার বিরোধিতা করা হবে। তাতে জনগণের সহমত থাকবে। ইউন জানান, দেশের জাতীয় পরিষদ অপরাধীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এর ফলে উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বদলে যেতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এই অবস্থা জারি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে উৎখাত করে দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রবেশদ্বার সিল করে দেওয়া হয়েছে। 

 

 

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী নিয়ন্ত্রিত সংসদের সঙ্গে ইউনের মতবিরোধ চলে আসছে। তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সে নিয়েও তদন্তের দাবি করে আসছে বিরোধীরা। তার মধ্যেই আচমকা এই ঘটনা।