আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনে সম্প্রতি এক মজার কাণ্ড। এক ব্যক্তি একটি মজার ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে এমন সময়, যখন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাঁকে পুকুরে লাথি মেরে ফেলে দেন। কারণ কী জানেন? তিনি তাঁর বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। এমনকি স্ত্রীর একাধিকবার তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়ার পরও তিনি বাচ্চাদের স্কুলে না নিয়ে গিয়ে, তার বদলে মাছকে খাবার খাওয়াতে ব্যস্ত ছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর নেটপাড়ায় উত্তেজনা। 

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পুকুরের ধারে বসে আছেন। বোঝা যাচ্ছে তিনি পুরো ঘটনার ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞাত। কিছুক্ষণ পর তাঁর স্ত্রী পিছন থেকে এসে আচমকা তাঁকে এক লাথিতে পুকুরে ফেলে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যক্তিটি জলে পড়ে যান এবং কিছুক্ষণ পর সাঁতরে উঠে আসেন। এরপর তাঁর স্ত্রী তাঁকে কড়া ভাষায় বকাঝকা করেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম মি. ডু (Mr. Du)। তিনি বলেন, 'আমি পরে জল থেকে উঠে আসি। তবে এর কারণে আঘাত লাগেনি। জল থেকে উঠে এসে আমি আমার স্ত্রী'র কাছে ক্ষমা চেয়েছি আমার কর্মের জন্য। আমার স্ত্রী সাধারণত খুব ভালো মানুষ। কিন্তু এখন সে গর্ভবতী, তাই মাঝে মাঝে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। পরে সেও আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।'

এই ঘটনার দিন স্মরণ করে ডু বলেন, 'সেদিন আমার স্ত্রী আমাকে বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে বলেছিল, কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছিলাম। সে আমাকে একাধিকবার ফোনও করে মনে করাতে, কিন্তু আমি পাত্তা দিইনি। তাই সে রেগে গিয়ে লাথি মেরে ফেলে দেয়। সে আমাকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে বলছিল, কিন্তু আমি মাছকে খাবার খাওয়াতে ব্যস্ত ছিলাম। আমারও ইচ্ছাকৃত অবহেলা ছিল না, আমি সত্যিই ভুলে গিয়েছিলাম। একইসঙ্গে আমি খুব অবাকও হই। পুকুরটি আনুমানিক ১.৬ মিটার গভীর ছিল। ভাগ্যক্রমে আমি সাঁতার জানতাম।'

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করেন। একজন লেখেন, 'আমার স্বামী একবার আমাদের শিশুকে ডে-কেয়ার থেকে আনতে ভুলে গিয়েছিল। ইচ্ছে করছিল সেদিন আমিও তাকে পুকুরে ফেলে দি।'  আরেকজন ঘটনায় মন্তব্য করে লেখেন, 'তার স্বামীকে পুকুরে দেখে বেশ আনন্দেই মনে হচ্ছে। ' কেউ আবার মন্তব্য করেন, 'আমি ভাবছিলাম এটা গার্হস্থ্য সহিংসতা, কিন্তু সন্তানের স্কুলে না নেওয়াটা আসলেই বড় বিষয়।' অন্য একজন ভিডিও দেখে লেখেন, 'সে ফোনে ছিল। কাকে ফোন করছিল যে এত গোপনীয়তা দরকার ছিল? আবার ধাক্কা দাও।' আরেকজন যোগ করেন, 'তার এটা প্রাপ্যই ছিল।'  একজন বলেন, 'হ্যাঁ, পুরুষরাই সব সময় সম্পর্কের মধ্যে বেশি সহনশীল হয়। যদি ঘটনা উল্টো হতো, এটা এতটা মজার মনে হতো না। কিন্তু পুরুষদের অনুভূতির কোনও মূল্যই নেই।'

আরও পড়ুনঃ বর-বউ সাজে বিদায় শিক্ষক শিক্ষিকাকে! প্রথমবারের মত বিহারে এমন আবেগঘন মুহূর্ত, জানুন...

ঘটনার প্রেক্ষিতে ডু আরও জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই আবার কিছু গুরুতর মন্তব্যও করেছেন। কয়েকজন বলেছেন, এটা বিপজ্জনক ছিল এবং তিনি গুরুতরভাবে আহতও হতে পারতেন। জানা গিয়েছে এই ঘটনার জেরে স্ত্রী'র পরিবারও ডু কে ফোন করে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে তাঁর সঙ্গে কিছু খারাপ হয়নি বলে খবর। ডু আরও বলেন, 'আমি আমার পরিবারকে বলেছি চিন্তা না করতে। আমরা সবাই তখন আবেগপ্রবণ ছিলাম। পরে আমি এবং আমার স্ত্রী একে অপরকে ক্ষমা চেয়ে নিই। আমি বুঝতে পারি কেন সে ওভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।'