আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি মিনিটে বাড়ছে প্লাস্টিকের দূষণ। প্রতি মিনিটে ২০ টন প্লাস্টিক ফেলা হচ্ছে সমুদ্রের বুকে। এগুলি সবই আসছে পৃথিবীর স্থলভাগ থেকে। এগুলি নদী, ড্রেন পার করে মিশছে সমুদ্রের বুকে।
 
 সমুদ্র পর্যন্ত যাওয়ার পথে এই প্লাস্টিকগুলি ভাঙতে ভাঙতে মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিনত হয়েছে। সেগুলি বিষ হয়ে উঠছে সমুদ্রে থাকা প্রাণীদের কাছে। এদের মধ্যে বহু প্লাস্টিক সমুদ্রের মধ্যে ডুবে যায়। বাকিগুলি ভাসতে থাকে জলের ওপরে।
 
 একে মোকাবিলা করতে আসরে নেমেছে বহু দেশই। তবে ফ্লান্স একটি জাহাজ তৈরি করেছে এবং সেটি নিরন্তর কাজ করে চলেছে। তারা একটি ৪০ মিটারের জাহাজকে সমুদ্রে ছেড়ে দিয়েছে। এখানে রয়েছে একটি ল্যাবরেটরি। এর প্রধান কাজই হল সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক তুলে নেওয়া এবং তাকে নষ্ট করে দেওয়া।
 
 ভারতের চেন্নাইয়ের বন্দরে রয়েছে এই জাহাজটি। এখানে ২০ জন মানুষ দিনরাত এক করে কাজ করছেন। সেখানে বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, নাবিক সবাই রয়েছেন। এই জাহাজের মধ্যে ১০ টি জোন ভাগ করা রয়েছে। সেখানে নানা ধরণের পরীক্ষাগার রয়েছে। সমুদ্র থেকে যে প্লাস্টিক তোলা হয় সেগুলিকে এখানে নষ্ট করে দেওয়া হয়। 
 
 এই প্লাস্টিক থেকে যদি বিকল্প কিছু তৈরি করা যায় সেদিকেও চিন্তাভাবনা করছেন এখানকার বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকে যদি নিত্যদিনের কয়েকটি সামগ্রী তৈরি করা যায় সেদিকেও তাদের নজর রয়েছে। জাহাজে সেজন্য একটি ছোটো কারখানাও রয়েছে।
 
 চেন্নাইয়ের গবেষকরাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। তারা মনে করছেন এমন একটি উদ্যোগের সঙ্গে তারা যদি মিলিতভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে তারা নতুন কিছু শিখতে পারবেন। ফ্লান্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভারত। তাই তারা এই জাহাজের সকলকে সহায়তা করতে চাইছেন। 
 
 প্লাস্টিক দূষণ থেকে গোটা বিশ্ব প্রভাবিত হতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে হলে ভারত যদি এমন একটি জাহাজ তৈরি করতে পারে তাহলে সেটি হবে অসাধারণ একটি দিক। সেই কাজেই সচেষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
