আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই নানা ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কোনওটি দেখে নেটিজেনরা হাসতে হাসতে লুটোপুটি খান। কোনওটি আবার আবেগপ্রবণ করে দেয় সকলকে। কয়েকটি ভিডিও আবার আনন্দের সঞ্চার যেমন করে, আবার কিছু ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সাধারণ মানুষ। 

 

সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে এক মৌলানাকে বিয়ে সংক্রান্ত কথা বলতে শোনা গেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই মৌলানা একাধিক বিয়ের কথা বলছেন। একাধিক বউ না থাকলে, সেই পুরুষকে পুরুষ বলে মানতে নারাজ তিনি। আসল পুরুষ মানুষের একাধিক বউ থাকা বাধ্যতামূলক বলেও জানান তিনি। 

 

শুধু কি তাই! মৌলানা আরও জানিয়েছেন, তাঁর একটি, দু'টি নয়। চারটি বউ রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর চারজনেই বিধবা হবেন। তাই মৃত্যুকালে তিনি নিশ্চিন্ত থাকবেন, চারজন বিধবাই তাঁর জন্য কান্নাকাটি করবেন। চারজনেই মনখারাপ করবেন একসঙ্গে। এটি ভেবে তাঁর আত্মাও শান্তি পাবে বলে জানিয়েছেন ওই মৌলানা। 

আরও পড়ুন: ভাড়াটের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা স্ত্রীর! তালিবান ঘরানায় প্রতিশোধ স্বামীর, দেহ খুঁজতে কালঘাম ছুটল পুলিশের

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের ওই মৌলানার বার্তাটি ঘিরে জোর চর্চা চলছে সমাজমাধ্যমে। নেটিজেনরাও রীতিমতো কপাল চাপড়াতে শুরু করেছেন মৌলানার কথা শুনে। এমনকী তাঁর কথা সামনে বসে থাকা দর্শকরা সমর্থন করছেন দেখে, আরও হতবাক সকলে। 

ঠিক কী বলেছেন ওই মৌলানা? তাঁর আসল বক্তব্য, 'আমি যখন মরে যাব, আমার পরিবারে থাকবেন চারজন বিধবা স্ত্রী। এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনারা সকলে কি বুঝতে পারলেন যা বলতে চাইছি? মরার পর চারজন স্ত্রী বিধবা হলেন না, এটা আমার জন্য অত্যন্ত অপমানের।' 

 

এরপরই মৌলানা বলেন, 'যদি চারজন স্ত্রী বিধবা না হয়ে, তিনজন স্ত্রী বিধবা হন, সেটাও আমার জন্য অপমানের। মৃত্যুর পরেও এই অপমান আমি ভুলতে পারব না। মুসলিম পুরুষের মৃত্যুর পর চারজন স্ত্রী বিধবা না হলে, তা অপমানজনক বলেই মনে করি।' তিনি আরও বলেন, 'আপনার চারটে বউ না থাকলে, আপনি আদৌ পুরুষ মানুষ কিনা সন্দেহ রয়েছে। চারজন স্ত্রী বিধবা না হলে, সেই মৃত্যু পরাজয়ের সমান আমার কাছে।' 

 

ভিডিওটি ইতিমধ্যেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। যা ঘিরে বেশিরভাগ মানুষই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।‌ একজন লিখেছেন, 'পাকিস্তান বলেই সম্ভব।‌ মেয়েদের যে বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, চরম নির্যাতনের শিকার তারা, এই ভিডিও তা প্রমাণ করেছে।' 

 

একজন লিখেছেন, 'এই লোকটির চরম পরিণতি হওয়া উচিত। তাহলেই উচিত শিক্ষা পাবে। চারজন স্ত্রীকে কীভাবে তিনি নির্যাতন করছেন, তাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।' আবার একজন লিখেছেন, 'এগুলো পাকিস্তানেই সম্ভব। যদি ভারতে ঘটত, একজন স্ত্রী অন্য স্ত্রীর কথা জানতে পারত, তাহলে কেউ আর জীবিত থাকত না।' 

 

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে একের অধিক বিয়ের চল রয়েছে। এমনকী আত্মীয়দের মধ্যেও বিবাহের রীতি রেওয়াজ রয়েছে। তুতো ভাই-বোনেরাও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তা ঘিরে যদিও আর কেউ আপত্তি তোলেন না। বরং দশকের দশকের হাসিমুখেই তার মেনে নেন সকলে। উদযাপনেও মাতেন।