আজকাল ওয়েবডেস্ক: আপনি নিশ্চয়ই বিশ্বের অনেক রহস্যময় দ্বীপের কথা শুনেছেন। কিন্তু এমন একটি দ্বীপের গল্প শুনেছেন কি যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসেনি? ভারতের উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, ব্রাজিলের স্নেক আইল্যান্ড এবং মেক্সিকোর পুতুল দ্বীপ (লা ইসলা দে লাস মুনেকাস)-সহ বিশ্বের অনেক দ্বীপে এমন রহস্য রয়েছে যা মানুষের বোধগম্যতার বাইরে। তবে, আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি দ্বীপ সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে যা 'না ফেরার দ্বীপ' নামে পরিচিত। কেনিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদের মাঝখানে অবস্থিত, 'না ফেরার দ্বীপ' একটি রহস্যময় এবং ভয়ঙ্কর স্থান। রহস্যময় 'না ফেরার দ্বীপ' সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা প্রতিবেদনে দেওয়া হল।

রহস্যময় 'না ফেরার দ্বীপ' কোথায় অবস্থিত?
মূলত এমফাঙ্গা দ্বীপ নামে পরিচিত, বেশ কয়েকটি রহস্যময় ঘটনার কারণে দ্বীপটি 'না ফেরার দ্বীপ' নামে পরিচিত হতে শুরু করে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, স্থানীয়রা এই দ্বীপটিকে "না ফেরার দ্বীপ" নামেই ডাকেন। কারণ বিশ্বাস করা হয় যে, এই দ্বীপে যে পা রাখে সে আর ফিরে আসে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, স্থানীয়রা মনে করে যে- দ্বীপটি অশুভ আত্মাদের দ্বারা আচ্ছন্ন। এই অশুভ আত্মাই পর্যটকদের শিকার করে এবং রাতে দ্বীপ থেকে অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়।

কেনিয়ার 'না ফেরার দ্বীপ' রহস্য কী?
'না ফেরার দ্বীপ'-এর চারপাশের এই রহস্যগুলি ছাড়াও এই দ্বীপের একটি প্রাচীন উপজাতি- দেবতাদের অপমান করেছিল। ফলস্বরূপ, পুরো দ্বীপটি তখন ডুবে যায়, দ্বীপের লোকেরা অদৃশ্য হয়ে যায়। ফলে ওই দ্বীপটি অভিশপ্ত হয়ে যায়, যা ক্রমেই 'না ফেরার দ্বীপ' হয়ে উঠেছে।

দ্বীপ মিগিঙ্গো
আবার আফ্রিকা মহাদেশের একটি দ্বীপ মিগিঙ্গো। ভিক্টোরিয়া হ্রদের পূর্ব দিকে এর অবস্থান। আয়তনে একটি ফুটবল খেলার মাঠের থেকে ছোট হলেও এখানে বাস করে শত শত মানুষ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোর একটি মিগিঙ্গো। প্রতি দুই হাজার বর্গ মিটারে ১০০ জনের অধিক মানুষ এখানে বসবাস করে। আর দ্বীপের মোট জনসংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। তবে এতো মানুষের ব্যবহারের জন্য রয়েছে মাত্র তিনটি শৌচালয়।

মিগিঙ্গো দ্বীপে বসবাসরত সবাই মৎস্যজীবী। সমুদ্রে মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তবে অনেক জেলেরই নিজের নৌকা নেই। অন্যের নৌকার উপরেই নির্ভরশীল থাকেন। একটা সময় দ্বীপের মাঝে বস্তি তৈরি করে থাকলেও, ২০০৪ সালের পর থেকে জেলেরা ঘর নির্মাণ শুরু করেন।

ভিক্টোরিয়া লেক
কেনিয়া, তানজানিয়া ও উগান্ডার মধ্যবর্তী একটি সুউচ্চ মালভূমির ওপর অবস্থিত আফ্রিকার লেক ভিক্টোরিয়া। ৩৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৩৭ কিলোমিটার প্রশস্ত এই লেক পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম লেক। লেকের জল স্বচ্ছ নীল। এই নীল জলেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন আকৃতির প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি দ্বীপ। এসব দ্বীপের বেশিরভাগই জনশূন্য। কিছু কিছু দ্বীপে গড়ে উঠেছে জনবসতি। হ্রদের জলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। অসংখ্য জেলে দ্বীপ থেকে দ্বীপে যাবাবরের মতো ঘুরে বেড়ায় আর শিকার করে বিখ্যাত নাইল-পার্চ মাছ।