আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবারেই পারস্পরিক শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চীন ছাড়া দিয়ে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের পাল্টা শুল্কে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, চীনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে একেবারে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তাতে বহু দ্রব্যের দাম বাড়ার সঙ্গেই আশঙ্কা ছিল, ফোন, কম্পিউটারের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলির দাম বাড়বে ব্যাপক হারে।
তবে শুল্ক নীতিতে বারেবারে বদল আনছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, শনিবার আমেরিকা জানিয়েছে, নয়া শুল্ক নীতিতে মোবাইল, কম্পিউটার-সহ বেশকিছু বৈদ্যুতীন সামগ্রীতে ছাড় দেবে আমেরিকা। অর্থাৎ ওই দ্রব্যাদির উপরে মার্কিন মুলুকের লাগু করা নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হবে না। এক্ষেত্রে তালিকায় রয়েছে চীনও।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় আমদানি হওয়া বেশিরভাগ স্মার্ট ফোন চীন থেকে যায় মার্কিন মুলুকে। চীনের উপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক আরোপিত হলে, আমেরিকায় সেসব দ্রব্যের দাম বাড়বে তরতরিয়ে। সেক্ষেত্রে এক ধাক্কায় দাম বাড়ার আশঙ্কা আই-ফোনের। সেসব বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার, তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তথ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অ্যাপলের ৮০শতাংশ আইফোন তৈরি হয় চীনে, বাকি ২০ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়।
তবে চীন-আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধে ভারতীয় গ্রাহকদের আদতে লাভ হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আমেরিকা চীনের উপর ব্যাপক হারে শুল্ক প্রয়োগ করতেই, পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে বুঝতে না পেরে, বেশকিছু চীনা ইলেক্ট্রনিক উপাদান প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতীয় সংস্থাগুলিকে পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এবং বজায় রাখার জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলি গ্রাহকদেরও একটি নির্দিষ্ট অংশের ছাড় দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরাও তেমন আশার কথাই শুনিয়েছেন সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায়। তাতে সাম্প্রতিক সময়ে ফোন, টিভি, ফ্রিজের মতো চাহিদাপূর্ণ, প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম কমতে পারে বলে ধারণা।
