আজকাল ওয়েবডেস্ক: তখনও পর্যটকরা ছিলেন। কেউ গিয়েছিলেন পশুপতি দর্শনে, কেউ অন্যত্র। তার মাঝেই উত্তাল হয় দেশ। কেউ প্রাণ হারিয়েছেন, কেউ ঘরে ফিরেছেন একরাশ আতঙ্ক নিয়ে। এবার ফের আহ্বান, পর্যটকদের। নেপাল বলছে, 'এখন নিরাপদ।'

 বিক্ষোভের কয়েকদিন পর, দেশটি এখন পর্যটকদের ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে। নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকিও ক্ষমতায় বসার পর থেকেই দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। শনিবার তিনি আহত জেন জি-এর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন সিভিল হাসপাতালে গিয়ে।


নেপালি নাগরিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম পর্যটকদের "সুন্দর দেশ" পরিদর্শনে ফেরার জন্য অন্য দেশের নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে। সেখানেই একটি পোস্টে যেমন বলা হয়েছে, 'নেপাল এখন পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।' 

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 13, 2025

সূত্রের খবর,নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে বিক্ষোভের সময় কাগজপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তারা বিনামূল্যে পর্যটকদের ভিসা রিনিউ করবে।

নেপাল ব্যাক টু নরমাল


এক মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার-সহ এক্স হ্যান্ডেলগুলির মধ্যে একটি, ‘রুটিন অফ নেপাল বান্দা’। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে নেপালে পর্যটকদের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছে, 'পর্যটকদের কাছে আবেদন: নেপাল আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। দয়া করে আমাদের সুন্দর দেশটি ঘুরে দেখুন! এটি করার জন্য উপযুক্ত মরসুম। আমরা এই সময়ে আমাদের পর্যটন প্রচারের জন্য বিদেশের মানুষজনকে অনুরোধ করছি।'

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেপাল, বিক্ষোভ-সরকার পতনে বিস্তর মিল থাকলেও শুরুতেই ইউনূসকে ছাপিয়ে গেলেন সুশীলা! ক্ষমতায় বসেই বড়

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে রবিবার থেকে আন্দোলন সংঘঠিত হয় নেপালে। ক্রমে সোমে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বহু বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে নেপাল সরকার ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মঙ্গলেও চলে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। সরকার পড়ে যান সেদিনই। পদত্যাগ করেন ওলি। তারপর থেকেই অন্তবর্তী সরকার গঠন নিয়ে জল্পনা সে দেশে। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পরেই জানা গেল, সরকার গঠনের ভোটের দিনক্ষণ। 

 

শুক্রবার সে দেশের অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন সুশীলা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, তাঁর রয়েছে ভারত-যোগ। তথ্য, সুশীলা বিরাটনগরের মহেন্দ্র মোরাং কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর, উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বেনারস থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কারকি পরে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ওই পর্বের পড়াশোনা শেষ হয় ১৯৭৮ সালে। বুধবার এক সংবাদ সাক্ষাৎকারে কারকি জানিয়েছেন, তিনি জেন জি-দের আবেদন মেনে, এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে তিনি তাঁর বিএইচইউ শিক্ষার কথা স্মরণ করেছেন। জানান, তিনি এখনও তাঁর প্রয়াত শিক্ষক এবং বন্ধুদের স্মরণ করেন ভিন দেশে বসেও। তাঁর মনে পড়ে গঙ্গার কথা, নদী তীরে হস্টেলের কথাও।