আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিরোধী দল, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকদের তীব্র প্রতিবাদ এবং সেনাবাহিনীর অসন্তোষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এরই মাঝে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সব ধরণের জনসমাবেশ, মিছিল এবং সমাবেশের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএমপি  সোমবার ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা গেস্ট হাউস, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং আশেপাশের এলাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য সিল করে দিয়েছে। ইউনূস সরকারের একটি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা সচিবালয়ে সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে বিক্ষোভের মধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হল। 

বিডি২৪নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলি বলেন, "জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টা (মুহাম্মদ ইউনূসের) নিরাপত্তার স্বার্থে মধ্য ঢাকার এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।“

গত ১০ মে এই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশের সোয়াট ইউনিট সহ আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছিল। ইদের কারণে প্রতিবাদে ভাটা পড়লেও বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে না নিলে আরও বৃহত্তর প্রতিবাদে নামবেন তাঁরা।

গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ইউনূস। এর পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ এবং বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সম্প্রতি ইউনূস ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপক বিচার বিভাগীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই ঘোষণার পরেও জল্পনা নির্বাচন না করেই ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন ইউনূস। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) নির্বাচনের সুস্পষ্ট সময়সূচীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। অন্যদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীও ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।