আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথাবার্তা চলেছিল মেরেকেটে পাঁচ মিনিট। তাতেই এক কলেজ ছাত্রীকে চাকরিতে নিয়োগ করে ফেললেন এক প্রযুক্তি সংস্থার সিইও। সম্প্রতি এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানাতেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রীর সাহস এবং সংস্থার প্রধানের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটদুনিয়া।
‘কোড অফ আস’ নামক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সান্ডি স্লোনজ্যাক নিজের এক্স-হ্যান্ডলে জানান, ওই ছাত্রীর সততা, দৃঢ় সংকল্প এবং শেখার অদম্য ইচ্ছা দেখে তিনি মুগ্ধ। সান্ডি লেখেন, “আজ মাত্র পাঁচ মিনিট কথা বলার পরেই আমি এক কলেজ ছাত্রীকে চাকরি দিয়েছি।” তিনি জানান, সংস্থায় কোনও শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রী একটি খোলা চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করার সাহস দেখিয়েছিল। শুধু তাই নয়, “সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছিল যে সে কিছুই জানে না।”
সিইও-র কথায়, ওই আবেদনকারী তাঁকে বলেন যে, “যতটা সম্ভব শেখার জন্য সে পশুর মতো খাটতেও রাজি।” সান্ডি আরও লেখেন, ছাত্রীটি “যে কোনও পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি ছিল,” পাশাপাশি “যোগাযোগে অত্যন্ত দক্ষ ও সোজাসাপ্টা কথা বলে, সংক্ষেপে নিজের সব বক্তব্য গুছিয়ে বলতে পারে।”
সান্ডি জানিয়েছেন, কাজের অভিজ্ঞতা দেখানোর জন্য ওই ছাত্রী অবসর সময়ে নিজের উদ্যোগে কিছু প্রজেক্টে কাজও করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বেতনের বিষয়ে তার কোনও মাথাব্যথা ছিল না। সিইও লেখেন, “শুধুমাত্র সংস্থায় কাজের সুযোগ পাওয়ার জন্য সে তিন মাস ন্যূনতম বেতনেও কাজ করতে রাজি ছিল।”
আবেদনকারীকে “বুদ্ধিমতী, বিনয়ী এবং শিখতে আগ্রহী” বলে উল্লেখ করে সান্ডি জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাঁর কাছে খুবই সহজ ছিল। তিনি লেখেন, “আগামীকালই কাজে যোগ দিতে পারে। সব দিকেই সবুজ সঙ্কেত। চাকরি পাকা।”
এই পোস্টটি ভাইরাল হতেই সিইও এবং ওই ছাত্রীর প্রশংসায় ভরে উঠেছে সমাজমাধ্যম।
এক নেটিজেন লিখেছেন, “মনে হচ্ছে আপনি এক দুর্লভ রত্ন খুঁজে পেয়েছেন!” অন্য এক জনের মন্তব্য, “দারুণ কাজ! তবে কথায় বলে, যত তাড়াতাড়ি নিয়োগ করা হয়, তারও বেশি তাড়াতাড়ি বরখাস্ত করা হয়। আশা করি এক্ষেত্রে তেমনটা হবে না।”
তৃতীয় এক জন লেখেন, “সব নিয়োগকারী ওঁকে সুযোগ দিত না, আমি খুশি যে আপনি দিয়েছেন। এ বার আপনিই ওঁকে আরও দক্ষ করে তুলে বিশেষজ্ঞ বানিয়ে তুলতে পারবেন।” আরেক জন যোগ করেন, “সততার জয় সব সময় হয়। আপনার এবং আপনার দলের জন্য শুভেচ্ছা রইল।”
অপর এক নেটিজেনের মন্তব্যটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি লেখেন, “আমার দীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন দল পরিচালনা করতে গিয়ে আমি শিখেছি যে, আমার সেই সব মানুষ পছন্দ, যাদের জ্ঞানের খিদে আছে। ভুল বুঝবেন না, নির্দিষ্ট কিছু পদের জন্য অভিজ্ঞতা অবশ্যই জরুরি, কিন্তু জ্ঞানপিপাসু হওয়াটা সম্পূর্ণ অন্য বিষয়!”
