আজকাল ওয়েবডেস্ক: লা নিনা সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি জানি। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে তৈরি হয়ে এর প্রভাব এবার সকলের জীবনেই পড়বে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে লা নিনা যে নিজের প্রভাব অনেক বেশি ফেলবে সেকথা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিক্যাল অরগ্যানাইজেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এল নিনার পরই সময় শুরু হয়েছে লা নিনার।

 

এবারের শীত তাই অন্যবারের শীতের তুলনায় অনেক বেশি হবে। এর প্রধান কারণ হল প্রশান্ত মহাসাগরের পরিস্থিতি এবং বিশ্বজুড়ে সার্বিক তাপমাত্রার হেরফের। যেভাবে ২০২৩ সালের সঙ্গে তুলনা করে ২০২৪ সালের তাপমাত্রা বদল হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে ২০২৫ সালেও একই ঘটনা ঘটবে। ইতিমধ্যেই ২০২৪ সাল গরমের দিক থেকে নতুন রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছে। চলতি বছর প্রায় ১.৫ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা দেখেছে পৃথিবী।

 

আগামীদিনে এর প্রভাব আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত থাকবে লা নিনার প্রভাব। বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে এল নিনা তার খেল দেখিয়েছে। এবার লা নিনার পালা। শুধু বেশি বৃষ্টিপাত নয়, তীব্র গরম থেকে শুরু করে প্রচুর শীত সবই থাকছে এর মধ্যে। ডাব্লুএমও-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেভাবে এল নিনা প্রভাব ফেলেছে তার সঙ্গে তাল রেখে লা নিনা তার প্রভাব বিস্তার করবে।

 

এখানেই শেষ নয়, যেভাবে গ্রিণহাউস গ্যাসের মাত্রা বাড়বে তাতে আগামীদিনে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ফলে আগামী কয়েক বছরে তাপমাত্রা আরও বেশি ভোগাবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, উত্তর আটলান্টিক সাগরে টাইফুন প্যাসিফিক সাগরে ঝড়ের পরিমান বিগত দিনের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমানও। সমুদ্রের পরিবেশ যতটা পরিবর্তন হবে তার সঙ্গে তাল রেখে স্থলভাগের পরিবেশও রকমফের ঘটবে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এখানেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ক্যারিবিয়াল দ্বীপপুঞ্জ, উত্তর-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি এরফলে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। রাতের দিকেও তাপমাত্রার হার অনেক বেশি থাকবে। শীতের সময় প্রবল শীতের পর গরমে কাবু হয়ে যাবে সকলেই। ফলে নতুন বছর পরিবেশ নিয়ে ফের নতুন চিন্তার জন্ম দেবে।