আজকাল ওয়েবডেস্ক: আপনি যেখানেই যাবেন না কেন আপনাকে টাকা দেওয়ার সময় কিউ আর কোড স্ক্যান করতেই হবে। তাহলেই নিজের ডিজিটাল পেমেন্ট করতে পারবেন। ফলে আপনাকে নগদ ব্যবহার করতে হবে না। তবে কার হাত ধরে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল সেটা অনেকেই জানেন না।


কিউ আর কোডের গল্পটি শুরু হয়েছিল জাপানের মাটি থেকে। ১৯৯৪ সালে মাসাহিরো হারা নামে এক ব্যক্তি টয়োটা গাড়ির প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি এই বুদ্ধিটি সবার আগে ভাবেন। তিনি একটি ভিডিও গেম খেলছিলেন। তখন সেখানে তিনি কালো সাদা ডটের মিলন নিয়ে ভাবেন। এরপরই তার মাথা থেকে কিউ আর কোড নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয় যার পুরো নাম কুইক রেসপন্স কোড।


১৯৯০ সালে বারকোড চলে এসেছিল। এটা জাপান এবং বিশ্বের বাকি দেশে চালু হয়ে গিয়েছিল। বারকোড চালু হয়েছিল ১৯৪৯ সাল থেকেই। দুই ব্যক্তি বারকোড তৈরি করে তাকে কাজে লাগিয়েছিল। সেখান থেকে নম্বরের দিকটি সামনে আসে।


হারা ভাল করে জানতেন কীভাবে বারকোড কাজ করে। বারকোড ছিল আকারে লম্বা। তবে সমস্যা ছিল যে বস্তুর ওপর বারকোড থাকবে যদি সেটি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বারকোড কাজে লাগানো যাবে না। হারা সেখান থেকে ভাবেন বারকোডকে যদি আরও উন্নত করা যায় তাহলে কেমন হবে। তিনি বারকোডের ১০ ক্যারেক্টরকে বাড়িতে ৭ হাজার ক্যারেক্টর করে দেন। এরপর সেখান থেকেই তৈরি হয়ে যায় কিউ আর কোডের খেলা।


হারার তৈরি করা কিউ আর কোড ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিটি সামগ্রীতে নিজের জায়গা করে নেয় কিউ আর কোড। জাপানের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক এই কোডকে কাজে লাগিয়ে টাকাপয়সার লেনদেন করতে চায়। হারা তাদেরকে সহায়তা করে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিউ আর কোড নিজর জনপ্রিয়তা নিজেই অর্জন করেছে। আর এখন এর সুবিধা বিশ্ববাসী ভোগ করছে।