আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে, বারেবারে কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। বাদ গেল না বর্ষবরণের রাতও। বুধবার, ফের কেঁপে উঠল জাপান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর, বুধবার জাপানের নোদা শহরে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইউএসজিএস জানিয়েছে যে ভূমিকম্পটি নোদা থেকে প্রায় ৯১ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে এবং ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৯.৩ কিলোমিটার। যদিও কম্পনের কারণে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির হিসেব সামনে আসেনি।
জাতীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্র (এনসিএস) জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে তিব্বতে ৩.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এনসিএস জানিয়েছে, ভারতীয় সময় বিকেল ৩.২৬ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়।
এর আগে, ৮ ডিসেম্বর, সোমবার স্থানীয় সময় রাত সওয়া ১১টায় জাপানের উত্তর ও পূর্বের একটি বড় অংশে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর হোক্কাইডো, আওমোরি এবং ইওয়াতে প্রিফেকচারের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান উপকূল। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছিল, ভূমিকম্পের ফলে সুনামি সতর্কাতা জারি করা হয়। উপকূল এলাকায় তিন মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ে কম্পনের জেরে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
সোমবার ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প। মঙ্গলবার ৬.৭ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় জাপানে। ঠিক তার পরের দিন, অর্থাৎ বুধবার, ফের কম্পন সে দেশেই। ১০ ডিসেম্বর, বুধবার কম্পন অনুভূত হয় জাপানের পূর্ব আওমোরি এবং হোক্কাইডো প্রিফেকচারে অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫। জাপানি সিসমিক স্কেলে মাত্রা ৫.৯।
জাপান কম্পন প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে মহাকম্পের সতর্কতা জারি করেছিল জাপান সরকার। সে দেশের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, নানকাই ভূতাত্ত্বিক খাত বরাবর ‘মহাকম্প’-এ কাঁপতে পারে জাপান। এর ফলে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা হতে পারে ৮.০ বা তারও বেশি। এর ফলে সুনামির সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার।
গত ১,৪০০ বছর ধরে, নানকাই খাতে প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছরে একবার মহাভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে সর্বশেষটি ঘটেছিল ১৯৪৬ সালে। ২০১২-১৩ সালেও এই সম্ভাব্য ‘মহাকম্প’ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল জাপানের সরকার। তখন সম্ভাব্য মৃত্যু সংখ্যা তিন লক্ষ ২৩ হাজার জন বলে জানা যায়।
