আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুইজারল্যান্ডের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে একান্তে সময় কাটানোর স্বপ্ন কার না থাকে! সুইজারল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমার স্বপ্ন ছিল এক দম্পতির। বিয়ের পরেই তাই উড়ে গিয়েছিলেন সেই স্বপ্নের দেশে। কিন্তু মধুচন্দ্রিমায় মধুর স্মৃতি তো দূরের কথা, হাড়হিম অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নবদম্পতি আদতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কিন্তু থাকেন কানাডায়। তাঁদের নাম, নিকিতা ও করণ। সম্প্রতি মধুচন্দ্রিমায় সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে এক হোটেলে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। একান্তে সময় কাটানো দূর অস্ত, দাঁত ভেঙে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা!
নিকিতা ও করণ জানিয়েছেন, গত জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের সিহোটেল নামের এক নামী রিসোর্টে তাঁরা রুম বুক করেছিলেন। সেই হোটেলের এক কর্মী ভয়াবহ হামলা চালান তাঁদের উপর। যার জেরে রক্তাক্ত হন নবদম্পতি। ভেঙে যায় দাঁত। কয়েকটি দাঁত গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে। ছোট পেয়েছেন শরীরের আরও একাধিক জায়গায়।
নিকিতা ও করণ জানিয়েছেন, নিকিতা মুম্বইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। বিয়ের পর সুইজারল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার স্বপ্ন ছিল বহুদিনের। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফিরে আসেন তাঁরা। দুজনের থুতনিতে গুরুতর চোট পেয়েছেন। দাঁত ভেঙে গেছে দুজনেরই। একাধিকবার চিকিৎসকের পরামর্শ করেছেন। থুতনিতে যে চোট পেয়েছেন, তা কখনও ঠিক হবে না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিকিতা ও করণ জানিয়েছেন, রুমে ঢোকার পরেই তাঁরা দেখেন, সেখানে কোনও এসি , ফ্যান কিছুই নেই। কিন্তু জুন মাসেও সুইজারল্যান্ডে যথেষ্ট গরম ছিল। গরমে অস্বস্তিও হচ্ছিল তাঁদের। রুমে ঢোকার পর এক কর্মীর কাছে আবেদন করেছিল, যদি ছোট্ট একটি ফ্যান তাঁদের দেওয়া যায়। বলার পর, সত্যিকারের একটি ছোট সাইজের ফ্যান তাঁদের দেন কর্মী। কিন্তু তাতে গরম কমেনি। তাই পাশের একটি দোকান থেকে ফ্যান ভাড়া করে এনেছিলেন তাঁরা।
বচসা শুরু হয় ঠিক তার পরেরদিন। হোটেলের এক কর্মী, তাঁদের না জানিয়েই ঘরে ঢুকে হোটেলের দেওয়া ফ্যানটি সরিয়ে নিয়ে যান। রাতেই এক কর্মীকে ডেকে অভিযোগ জানায় নবদম্পতি। ইংরেজিতে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কী নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এরপরই নবদম্পতিকে গালিগালাজ করেন ওই হোটেলের এক কর্মী।
চেক আউট করার দিনেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। নিকিতা জানিয়েছেন, ব্রেকফাস্টের সময় তাঁকে হেনস্থা করা হয়। এক ৬০ বছর বয়সি বৃদ্ধ কর্মীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির হয় নিকিতা ও করণের। করণকে যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন ফোনে রেকর্ড করছিলেন নিকিতা। তাঁর ফোনটিও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বৃদ্ধ কর্মীকে নবদম্পতি প্রথম আক্রমণ করে। তাঁর নাক ফাটিয়ে দেন। মাথায় আঘাত লাগে। এরপরই একটি কাচের গ্লাস ছুড়ে মারেন ওই কর্মী। সেই গ্লাসের আঘাতে নিকিতার দাঁত ভেঙে যায়। এই বৃদ্ধ কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি গুরুতর চোট পান নবদম্পতিও।
