আজকাল ওয়েবডেস্ক: পছন্দের চিকেন র‍্যাপ অর্ডার করেছিলেন। যেমনটা আগেও করেছেন বহুবার। তবে ঘূণাক্ষরেও জানতেন না, তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। পছন্দের খাবার অর্ডার দেওয়ার পর যে অপেক্ষা থাকে, সেই অপেক্ষা পর্ব পেরিয়ে হাতে যখন খাবার, আনন্দে চোখ বুজে কামড় বসিয়েছিলেন তাতে। তার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তবে বদলে গেল তারপরেই। মহিলার অভিযোগ তেমনটাই। তাঁর অভিযোগ চিকেন র‍্যাপে চিকেনের মাঝেই ঠাসা মানুষের আঙুলের ডগা। যদিও নিউ ইয়র্ক সিটির ওই মহিলার দাবি কিছুতেই মানতে নারাজ রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা, প্ররোচনামূলক।


ঘটনাটি পুনরায় বিবরণে প্রকাশ্যে এলেও, ঘটেছে ২০২৩ সালে। ৪৩ বছরের মেরি এলিজাবেথ স্মিথ জানিয়েছেন তিনি ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর তাড়াহুড়োয় থাকার জন্য ওই খাবার অর্ডার করেছিলেন চটজলদিতে। কুইন্সের  ক্রিয়েট অ্যাস্টোরিয়া দোকান থেকে তিনি ওই চিকেন র‍্যাপ অর্ডার করেছিলেন বলে জানান।

আরও পড়ুন: 'স্ত্রী নিখোঁজ, খুঁজে দিন প্লিজ', থানায় জানিয়েই ফোন বন্ধ স্বামীর, বাড়ির উঠোনে ছড়ানো ন্যাপথলিন দেখেই ভয়ঙ্কর খুনের

স্মিথের আইনজীবী রবার্ট মেন্না জানিয়েছেন, ওই খাবারে মহিলা কামড় দেওয়ার পরে, চিকেনের মাঝে তিনি মানুষের মাংস, আঙুলের ডগা পেয়েছেন। মহিলা চিকেনের মাঝেই অন্য কিছুর অস্তিত্ব বুঝতে পেরেই খাবার উগরে মানুষের আঙুল আবিষ্কার করেন বলে দাবি ওই মহিলার আইনজীবীর। জানিয়েছেন, মহিলা ওই আঙুলের ডগা গিলে না ফেললেও ঘটনায় তাঁর মনে ব্যাপক ভয়, এবং ঘৃণা তৈরি করেছে। দাবি ফরেন্সিক পরীক্ষাতেও জানা গিয়েছে, ওই আঙুলের ডগা একজন মানুষের এবং একজন মহিলার। 

আরও পড়ুন: রাস্তায় খাওয়াচ্ছিলেন পথকুকুরদের, সুপ্রিম নির্দেশের পর মহিলাকে মাঝরাস্তায় চড়-থাপ্পড় যুবকের

করকোরানের একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট স্মিথ। ওই ঘটনার পর থেকেই খাবার প্রসঙ্গে একপ্রকার ভয় গ্রাস করেছে বলে জানা গিয়েছে। যে কোনও খাবারের বিষয়েই তাঁর মনে সংশয়। মানসিক ভাবে বিধ্বস্থ ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। প্রথমদিকে চিকেন তো দূর, স্বাভাবিক খাবারই ভয়ে খেতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন। এমনকি দীর্ঘদিন পরে তিনি মুরগীর মাংসর প্রতম টুকরো মুখে তোলেন, তাতেও ভয়ানক রকমের অরুচি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। 

ওই মহিলা জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তিনি একটি ওয়াক-ইন মেডিকেল ক্লিনিকে গিয়েছিলেন, আঙুলের ডগাটি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসক পরীক্ষকদের বলেছিলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন ওই অংশ আঙুলের ডগা নয় মানুষের নয়, তাহলে তিনি ৭৫ ডলার দেবেন। 

অন্যদিকে ওই রেস্তোরাঁ ক্রিয়েটের বীমা কোম্পানি, লিবার্টি মিউচুয়াল, স্মিথের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। অভিযোগ, ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেও ওই রেস্তোরাঁ অভুযোগ মানতে চায়নি। যুক্তি সেখানে কোনও মহিলা কর্মী ছিল না। যদিও স্মিথের দাবি, তিনি স্পষ্ট রেস্তোরাঁয় মহিলাদের কাজ করতে দেখেছেন। অন্যদিকে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের যুক্তি, খাবার রান্না হওয়ার পর, তা পরীক্ষা করে দেওয়া হয় গ্রাহকদের। তাছাড়া স্মিথ ওই মানুষের আঙুলের ডগা অন্যত্রও পেয়ে থাকতে পারেন বলে দাবি তাদের।