আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে হঠাৎ তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন। কেন তিনি সকলের থেকে দূরে থাকছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। অনলাইনে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেন ‘অদৃশ্য’ হয়ে গেছেন। অবশ্য এসব জল্পনা মূলত এসেছে বেনামী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে। হোয়াইট হাউস এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এক্স-এ একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পকে গত একদিন ধরে দেখা যায়নি। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক প্রকাশনা রোল কল-এর তথ্য মতে, ৩০ ও ৩১ আগস্ট তার সূচিতে কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচি তালিকাভুক্ত নেই। এই তথ্যই গুজবে আরও আগুন জুড়েছে। যদিও এসব জল্পনার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি, তবে তা ছড়িয়ে পড়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের উদ্বেগের মধ্যেই, বিশেষত তার হাতের দীর্ঘস্থায়ী কালশিটে দাগ নিয়ে।
আরও পড়ুন: পার্সোনাল লোন হতে পারে মরণফাঁদ, এই নিয়মগুলি না মানলেই সর্বনাশ
এক্স-এ ট্রাম্পের অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেখা যায়নি এবং আগামী দুই দিনের জন্যও কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচি নেই। কী হচ্ছে আসলে?” আরেকজন লিখেছেন, “সপ্তাহান্তে ট্রাম্পের কোনও পাবলিক ইভেন্ট নেই। আজও তাকে দেখা যায়নি বলে মনে হয়।” যদিও ট্রাম্প জনসমক্ষে আসেননি, তিনি অনলাইনে বেশ সক্রিয় ছিলেন, যা তার ট্রুথ সোশ্যাল-এর পোস্ট থেকেই বোঝা যায়।
লেবার ডে উপলক্ষে ট্রাম্পের পরিকল্পনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ সেপ্টেম্বর লেবার ডে উদযাপন হবে। এই কারণে ট্রাম্পের সূচিতে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান না থাকাটা স্বাভাবিকও হতে পারে। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল আগস্টের শেষ দুই সপ্তাহ ট্রাম্প নিউ জার্সির বেডমিনস্টার রিসর্টে কাটাবেন। কিন্তু তিনি সেই পরিকল্পনা বাতিল করে হোয়াইট হাউসে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে দ্য ওয়াশিংটন টাইমস জানিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ
৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট কোথায় আছেন, তা নিয়ে উৎকণ্ঠার অন্যতম কারণ হল তার স্বাস্থ্যের অবস্থা। ট্রাম্পের হাতে কালশিটে দাগ লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি আগেও সেই দাগ ঢাকতে মেকআপ ব্যবহার করতে দেখা গেছে তাকে।

ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা স্বীকার করেছেন যে প্রেসিডেন্টের হাতে কালশিটে আছে। তিনি বলেন, “এটি নিয়মিত করমর্দন এবং অ্যাসপিরিন ব্যবহারের কারণে হওয়া সামান্য টিস্যু প্রদাহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ট্রাম্প অ্যাসপিরিন খান কার্ডিওভাসকুলার প্রতিরোধক হিসেবে।” চিকিৎসকের দাবি, ট্রাম্প অন্যথায় ‘চমৎকার জ্ঞান ও শারীরিক স্বাস্থ্যে’ আছেন এবং তার হাতে থাকা কালশিটে অ্যাসপিরিনের কারণেও হতে পারে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট একটি বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। প্রতিদিন তিনি যতজন আমেরিকানের সঙ্গে হাত মেলান, ইতিহাসে আর কোনও প্রেসিডেন্ট এতটা করেননি। আমেরিকার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি অটল, এবং তিনি প্রতিদিন তা প্রমাণ করছেন।”
এদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি কোনও “ভয়াবহ দুর্ঘটনা” ঘটে তবে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প খুব ভাল আছেন।
