আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফ্লোরিডার এক মা সম্প্রতি এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, যা শুনে পুরো হাসপাতাল অবাক হয়েছে। তিনি জন্ম দিয়েছেন এক রেকর্ড ভাঙা শিশুর, যার ওজন প্রায় দ্বিগুণ সাধারণ নবজাতকের চেয়ে বেশি। এই ঘটনা ঘটেছে রিভারভিউ এলাকার সেন্ট জোসেফ’স হাসপাতাল-সাউথে, ৩ সেপ্টেম্বর।
৪০ বছর বয়সী ড্যানিয়েলা হাইনস জানান, সি-সেকশনের সময় তিনি অস্বাভাবিক ব্যথা ও চাপ অনুভব করছিলেন। পরে যখন শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখে, নার্সরা তাঁকে জানান শিশুর ওজন ১৩ পাউন্ড ১৫ আউন্স, অর্থাৎ প্রায় ৬ কেজি ৩ গ্রাম। মুহূর্তেই তিনি অবাক হয়ে বলেন, “এই শিশুটি কি সত্যিই আমার থেকে জন্মাল? এতো বড় বাচ্চা কিভাবে সম্ভব!”
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা হলেই বিনামূল্যে মিলবে মাইক্রোওয়েভ! মহিলাদের জন্য বিস্ময়কর অফারে হইচই
হাইনসের পরিবারে এটি দ্বিতীয় সন্তান। আশ্চর্যের বিষয়, তার প্রথম সন্তানও অস্বাভাবিক বড় আকারের ছিল—তার জন্মের সময় ওজন ছিল ১২ পাউন্ড ১১ আউন্স। তবে এবারকার অভিজ্ঞতা যে অনেকটাই ভিন্ন ছিল তা জানিয়েছেন হাইনস। তিনি বলেন, আগের তুলনায় এবার সি-সেকশনের সময় শরীরে যে চাপ ও অস্বস্তি অনুভব করেছেন, তা ছিল অনেক তীব্র। তবে এবারের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা রকম, জানান তিনি ও তার স্বামী।
শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আন্নান। হাইনস মজা করে বলেন, তাঁর ও তাঁর স্বামীর উচ্চতা (দুজনেই ৬ ফুট) হয়তো সন্তানের এই বিশাল আকারের পেছনে বড় কারণ। আন্নান জন্মের সময় দেখতে ছিল চার মাস বয়সী শিশুর মতো। হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসকরা বলেন, “প্রতিদিন এমন প্রায় ১৪ পাউন্ড ওজনের নবজাতক জন্ম নিতে দেখা যায় না।” ফলে জন্মের পর থেকেই আন্নান হয়ে ওঠে মাতৃত্ব বিভাগে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শিশুটির ছবি শেয়ার করে তাকে “অলৌকিক” বলে উল্লেখ করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, আন্নান সম্ভবত তাদের হাসপাতালে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে বড় শিশু। ড্যানিয়েলা হাইনস গর্ভাবস্থায় গেস্টেশনাল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন, যা অনেক ক্ষেত্রে শিশুর অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে তিনি জানান, আন্নান এখন বেশ শান্ত স্বভাবের, কেবল ক্ষুধার্ত হলে কান্না করে।
আবেগঘন কণ্ঠে হাইনস বলেন, “আমরা এত বড় আশীর্বাদের প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু এটা আসলে আরও বেশি ভালোবাসা দেওয়ার সুযোগ। বড় হয়ে আমি তাকে দেখাতে চাইব, দেখো তুমি খবরের কাগজে এসেছিলে!” উল্লেখ্য, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ভারী শিশুর জন্ম হয়েছিল ১৯৫৫ সালে ইতালিতে, যার ওজন ছিল ২২ পাউন্ড।
