আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার রক্তবন্যার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প! প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যদি তাঁর শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজায় ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর না করা হয় তাহলে হামাস "সম্পূর্ণ ধ্বংস" হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্ত করার জন্য আলোচনা দ্রুত এগোচ্ছে এবং চুক্তির প্রথম ধাপ এই সপ্তাহে সম্পন্ন হতে পারে।
শান্তি চুক্তির জন্য হামাসকে রবিবার সন্ধ্যা ছয়'টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হামাস তাতে রাজি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা কার্যকর করতে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি। এতেই চটেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার পর থেকে হামাসকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন তিনি। কখনও বলেছেন, ‘এটাই শেষ সুযোগ’, আবার কখনও ‘চুক্তি না করলে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে’ বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
এ দিন ট্রুথ সোশালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘গত সপ্তাহে হামাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (আরব, মুসলিম এবং অন্যান্য) সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। মূল লক্ষ্য বন্দিদের মুক্তি, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা।'
সোমবার মিশরে গাজার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে একটি বিশেষ দল। এমনটা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পরিকল্পনার প্রথম ধাপ এই সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। সবাইকে অনুরোধ করছি, দ্রুত পদক্ষেপ করুন। শতাব্দী প্রাচীন এই সংঘাতের খুঁটিনাটি আমি জানি। সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। না হলে ভয়াবহ রক্তপাত ঘটবে। যা কেউই চায় না।’
জানা গিয়েছে যে, আলোচনায় যোগ দিতে হামাস প্রতিনিধিদল মিশরে পৌঁছেছে। নতুন করে আলোচনা গতি পেতেই হামাসের নির্বাসিত গাজা প্রধান খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রবিবার রাতে শার্ম আল-শেখে আলোচনায় যোগ দিতে মিশরে পৌঁছেছে। যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে মার্কিন-সমর্থিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারের নেতৃত্বে ইসরায়েলি আলোচকরা সোমবার পৌঁছানোর কথা ছিল।
দু’বছর ধরে চলতে থাকা গাজার যুদ্ধ থামাতে ইজ়রায়েল, হামাস এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে শান্তি চুক্তি করতে চাইছেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যে ২০ দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। শুধু যুদ্ধ বন্ধ নয়, তার পরে গাদার শাসনব্যবস্থা কোন পথে এগোবে, তারও রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
২০ দফা পরিকল্পনায় ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির পরে গাজার প্রশাসন সামলাবে একটি ‘অরাজনৈতিক প্যালেস্তেনীয় কমিটি’। তাতে থাকবেন প্যালেস্তাইনের বিশিষ্ট নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। কমিটির কাজ দেখভাল করবে ‘বোর্ড অফ পিস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর মাথায় থাকবেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
