আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং তাঁর বাগদত্তা লরেন সাঞ্চেজ কয়েকদিন আগে ভেনিসের বিলাসবহুল আমান ভেনিস রিসোর্টে তিন দিনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বেজোস-লরেনের 'শতাব্দীর সেরা বিয়ে'তে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ২৫০ জন ভিআইপি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। ব্যয় হয়েছিল ৫৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা)।
লরেনের সঙ্গে বেজোসের এটি তৃতীয় বিয়ে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কটের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় বেজোসের। যার ফলে ম্যাকেঞ্জি বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা হয়ে ওঠেন। এই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কত খোরপোশ দিতে হয়েছিল অ্যামাজনের কর্তাকে?
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বেজোস বিবাহবিচ্ছেদের চুক্তির অংশ হিসেবে অ্যামাজনের চার শতাংশ শেয়ার ম্যাকেঞ্জিকে হস্তান্তর করেছিলেন। সেই সময় এই শেয়ারগুলির মূল্য ছিল আনুমানিক ৩৬.৫ বিলিয়ন ডলার (২.৫২ লক্ষ কোটি টাকা)। যা ম্যাকেঞ্জিকে রাতারাতি কোটিপতি এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা বানিয়েছিল।
বেজোস-ম্যাকেঞ্জি বিবাহবিচ্ছেদকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতার প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ কিছু ছোট দেশের জিডিপির অর্ধেকের সমান। বিচ্ছেদের আগে স্কট এবং বেজোস ২৫ বছর একসঙ্গে ছিলেন।
ম্যাকেঞ্জি একজন আমেরিকান ঔপন্যাসিক, সমাজসেবী এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী। ১ জুলাই ২০২৫ তারিখের হিসাব অনুযায়ী বেজোস ২৩৩.৪ বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদের মালিক, বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
স্কটের বেশিরভাগ সম্পদই অ্যামাজনের সেই শেয়ার থেকে এসেছে যা তিনি বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় পেয়েছিলেন। বছরের পর বছর ধরে দাতব্য কাজে প্রচুর দান করার পরেও তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩১.৭ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ার তালিকা অনুসারে, ম্যাকেঞ্জি বর্তমানে বিশ্বের ৬১তম ধনী ব্যক্তি।
২০২৩ সালে ফোর্বস স্কটকে বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় স্থান দেয়। তার আগে ২০২০ সালে টাইমস-এর ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
