আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নাকি আগে গণভোট। এই আলোচনা দীর্ঘদিনের পদ্মাপারে। এক একটি দলের, এক এক রকমের মত। জামায়েত ইসলামের নেতারা দাবী করেছিলেন, গণভোটের আয়োজন করতেই হবে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে। খালেদার দলের দাবী ছিল একেবারে বিপরীত। কী হবে, কী হবে না? নজর ছিল সেদিকে। বৃহস্পতিবার অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, বাংলাদেশে একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং গণভোট হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অক্টোবরেই জানিয়েছিল, জুলাই সনদের সংবিধান সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়নের জন্য, বিশেষ আদেশ দিয়ে, তার ভিত্তিতে করতে হবে গণভোট। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫' অনুমোদন করা হয়। জানা গিয়েছে, চারটি বিষয়ে হবে বাংলাদেশের গণভোট। গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে জনগণ নিজেদের মতামত জানাবেন। জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে কোন কোন প্রশ্ন থাকবে, তা স্থির হয়ে গিয়েছে বলেও জানান ইউনূস।
কেমন হবে সেসব প্রশ্ন? বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেমন হবে সেসব প্রশ্ন, তার একটি উদাহরণ দিয়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার–সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?'
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে, ইউনূস জানান, 'আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনওভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না।'
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশের আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলির প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
