আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে গতি দিয়েছে। এর হাত ধরে মানবজাতি উন্নতির পথে এগিয়ে গিয়েছে। তবে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমাদের মানসিক এবং শারীরিক নানা ধরণের সমস্যা তৈরি করেছে এই প্রযুক্তিই। 


প্রযুক্তি নিয়ে বহু বছর আগে এই সতর্কবার্তাই দিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা। বুলগেরিয়ান এই জ্যোতিষী বহু আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এই বার্তা। তিনি জানিয়েছিলেন এমন যন্ত্র মানুষের হাতে আসবে যার ফলে তারা জীবনের কাজে গতি পাবে। তবে এই যন্ত্রই মানুষের জীবনের সময়কে কমিয়ে নিয়ে তাকে শেষ করে দেবে।


বিশ্বব্যাপী নিজের নাম করেছেন বাবা ভাঙ্গা। তার নিঁখুত গণনা সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে যে বার্তা দিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে। তিনি সেদিন যে যন্ত্রের কথা বলেছিলেন তা হল বর্তমান সময়ের স্মার্টফোন। তিনি যে সাবধানবানী দিয়েছিলেন তার সঙ্গে একেবারে মিলে গিয়েছে স্মার্টফোনের হিসেব।


কীভাবে মোবাইলের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না আট থেকে আশি কেউই :

এনসিপিসিআরের রিপোর্ট অনুসারে ভারতের ২৪ শতাংশ শিশু রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন দেখে। এরফলে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাদের মনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরফলে তারা অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং পড়াশোনাতে মনযোগ হারিয়েছে।


একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও। ফোনকে টানা স্ক্রল করে যাওয়া রাত জেগে ফোন দেখা, সামাজিক মাধ্যমে না থাকলে হতাশা বোধ করা। চোখের সমস্যা, ঘাড়ের ব্যাথা, ঘুমের সমস্যা সবই এখান থেকে আমদানি হয়। 


এরফলে আট থেকে আশি সকলেরই অল্প বয়সে অন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘাড়-পিঠের নানা ধরণের রোগ, অনিদ্রা, মানসিকভাবে হতাশ, সামাজিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাওয়া সবই হয়েছে। এছাড়া পারিবারিকভাবেও প্রতিটি মানুষ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এই সতর্কবার্তাই দিয়েছিলেন বুলগেরিয়ান এই জ্যোতিষী। তিনি জানিয়েছিলেন এই যন্ত্র মানুষের জীবনের আয়ুকে কমিয়ে নিয়ে আসবে। তারই শিকার হয়ে কমবে মানুষের গড় আয়ু। মৃত্যু হবে নিকটেই।