আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিয়াটল থেকে সান ফ্রান্সিসকোগামী বিমান তখন মাঝআকাশে। বিমানে ৮৩ যাত্রী, বিমানকর্মীরা। অভিযোগ, বিমান চালক নিজের গাফিলতেই নাকি বহু যাত্রী-কর্মী নিয়ে ওই বিমানটিকে দুর্ঘটনার মুখে ফেলছিলেন। বিমান চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হতেই, তিনি জবাবে যা জানিয়েছেন, তাতে রীতিমতো হতবাক সকলে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই নেটপাড়াতেও। 

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, বিমান যখন মাঝ আকাশে, তখন, আচমকা জোসেফ এমারসন বিমানের ককপিটে জাম্প সিটে বসে ছিলেন, হঠাৎ তিনি সিলিং প্যানেলের দুটি জরুরি ইঞ্জিন শাট-অফ হ্যান্ডেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সেগুলি টেনে নামাতে শুরু করেন। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনায় হকচকিয়ে যান অপর চালক। মুহূর্তের মধ্যে বিরাট বিপদের আশঙ্কা করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যেও। বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের ফোন করে, ওই বিশেষ বিমানের জরুরি অবতরণের কথা জানাতে বাধ্য হন অপর চালক। 

ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের অক্টোবরে আলাস্কার আঞ্চলিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান হরাইজন এয়ার পরিচালিত একটি এমব্রেয়ার E75 আঞ্চলিক জেটে। সম্প্রতি বছর দুই আগের ওই সময়ের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা এখন ভাইরাল। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে তাতে যা দেখা গিয়েছে, তা অবাক করার মতো। কী দেখা গিয়েছে? দেখা গিয়েছে, এমারসন বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। 

অডিওতে, কর্তব্যরত পাইলটকে এমারসনকে জিজ্ঞাসা করতে শোনা যায় যে তিনি বাড়ি যেতে চান কি না। দু'জনের কথোপকথনের, তর্কাতর্কির এবং উদ্বেগের বেশ কিছু কথাও শোনা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা গিয়েছে, পাইলট বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের বলেন, তিনি বিমানটির জরুরি অবতরণ করতে চান। সঙ্গেই তিনি বলেন, 'আমাদের একটি জাম্প সিটার আমাদের ইঞ্জিন বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। আমাদের এখন সরাসরি পোর্টল্যান্ডে যেতে হবে।' 

কেন এই ধরনের আচরণ করেছিলেন ওই চালক? জানা গিয়েছে, পরে এমারসন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে তিনি দু'দিন আগে খাওয়া 'ম্যাজিক মাশরুম-এর প্রভাবেই এই ধরনের আচরণ করছিলেন। তিনি ঘুমে ঢুলে পড়ছিলেন।

ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে জরুরি অবতরণ করার পর যখন ওরেগনের পোর্টল্যান্ডের স্থানীয় প্রসিকিউটররা এমারসনকে হাতকড়া পরিয়ে বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন, সেই সময়েরও একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যদিও ওই ভিডিওর'ও সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে সেখানেই তাঁকে 'ম্যাজিক মাশরুম'এর তত্ব বলতে শোনা গিয়েছে। তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, কারাবাস-সহ একগুচ্ছ সাজাপ্রাপ্ত হন। 

একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এমারসনের সেদিন 'অফ ডে' ছিল। তাহলে ছুটিতে থাকা একজন চালক কেন বসেছিলেন ককপিটে? একাধিক প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।