আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় মহিলারা কানাডায় যাচ্ছেন, সেখানে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। এতে সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন কানাডার নাগরিকত্ব। এমনই দাবি করে এক ভিডিও পোস্ট হয়েছে এক্স প্ল্যাটফর্মে। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম এটি পোস্ট হয়, তার নাম চাঁদ ইরোস। এই বিষয়টির নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে জন্ম পর্যটন হিসাবে।
কেউ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে সে দেশে গেলে, সেখানে সন্তানের জন্ম দিলে, খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই সন্তান কানাডার নাগরিকত্ব পাবে। সেই সূত্র ধরে তার বাবা এবং মা-ও হয়ে যাবেন কানাডার নাগরিক। প্রচুর ভারতীয় এইভাবে কানাডার নাগরিকত্ব পাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে। গত চার পাঁচ বছরে বেড়েছে বিষয়টি, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে। শুধু ওই পোস্টই নয়, সে দেশের পার্লামেন্টেও এই দাবি উঠেছে। কিন্তু সত্যিটা ঠিক কী?
চাঁদ ইরোস জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর ভাগ্নির সন্তান হয়েছে। হাসপাতালের নার্স তাঁকে বলেছেন, সেখানকার প্রসূতি ওয়ার্ড ভরে আছে ভারতীয় মহিলাদের দ্বারা। জন্ম নেওয়া সেই শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সে দেশের নাগরিক তো হবেই, সেই সূত্র ধরে তার পরিবারের লোকেরাও আসবেন সে দেশে। এইভাবেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাচ্ছেন ভারতীয়রা। এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
পরে একটা পোস্টে চাঁদ জানিয়েছেন, শুধু ভারতীয়রাই নন, অন্য দেশ থেকেও জন্ম পর্যটনের জন্য কানাডায় যাচ্ছেন অনেকে। কানাডিয়ানদের বক্তব্য, নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং নিরাপদ নাগরিকত্বের জন্য এই পন্থাই বেছে নিচ্ছেন ভারতীয়রা। তবে শুধু ভারতীয়রা নন, দেখা গিয়েছে বিপুল পরিমাণে চিন দেশের মানুষ কানাডায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। তবে সেটা কোভিডের আগে। কানাডার রিচমণ্ড শহরের ক্ষেত্রেই শুধু রিপোর্ট বলছে, চিনের দু'লাখ মানুষ বসবাস করতেন। একটা সময়ে প্রচুর নাইজেরিয়ার বাসিন্দারা কানাডায় বসবাস করতেন। সেই জায়গায় ভারতীয় প্রবাসীর সংখ্যা এখন সর্বোচ্চ।
এই জন্ম পর্যটনকে সেই দেশের মানুষ ঠিক কী চোখে দেখছেন? জন্ম পর্যটন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কি না এই বিষয় নিয়ে একটি ভোটাভুটি করা হয়। তাতে সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ জন্ম পর্যটন নিয়ন্ত্রণের পক্ষে রায় দিয়েছেন আর বাকি ৬০ শতাংশ মানুষ এই নাগরিকত্বের ঢিলেঢালা আইনকে বদলানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
