আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের প্রথমসারির দুই সংবাদমাধ্যম, 'প্রথম আলো', 'দ্য ডেলি স্টার'। ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ বাংলাদেশে পৌঁছতেই বিক্ষুব্ধরা দুই সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলা চালায়। লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তখন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ের ভিতরে ছিলেন কর্মীরা। সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অনেকেই। আটকে থাকা সাংবাদিকরা প্রাণভয়ে আশ্রয় নেন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ের ছাদে। পরে তাঁদের ক্রেনে করে উদ্ধার করা হয়। প্রাণে বেঁচে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন অনেকেই।
শুক্রবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, 'প্রথম আলো' এবং 'দ্য ডেলি স্টার'-এর সম্পাদকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল, 'প্রথম আলো'র সম্পাদক মতিউর রহমান ও 'দ্য ডেলি স্টার'-এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে কথা বলে ইউনূস জানিয়েছেন- 'আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যাক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।'
কিন্তু সোমবারে যেন একেবারে অন্য মোড় ঘটনার। সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক, অন্তবর্তী সরকারের প্রাক্তন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যা বলেছেন তা নিয়ে জোর চর্চা। বিবিসি বাংলা এবং দ্য ডেলি স্টার-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, নাহিদ জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত সরকারের ভিতরের অংশ।
সোমবার বাংলাদেশের নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব) ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নাহিদ দাবি করেছেন, এই হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাহিদ বলেন, 'আমাদের স্লোগানগুলি ব্যবহার করে তারা সেখানে আক্রমণ করেছে এবং সেটার পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছে। এই ঘটনার পরে আমরা বলেছি যে, সরকারের ভেতরের একটা অংশের এখানে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।' তাদের পিছনে রাজনৈতিক ব্যাকআপ রয়েছে বলেও দাবি নাহিদের। তেমনটাই উল্লিখিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে, সোমবারেই জানা যায়, সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলার ঘটনায় ১৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৩১ জনকে। কিন্তু বিকেলেই 'প্রথম আলো' সূত্রের খবর, পুলিশ জানিয়েছে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার মহম্মদ নাইমের কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। লুটের টাকায় ওই ব্যক্তি টিভি-ফ্রিজ কিনে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলিও। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলার ঘটনায় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো ৪০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছে।
