আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪৫ ফুট লম্বা নগ্ন নারীমূর্তিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে সান ফ্রান্সিসকোর এমবারকাডেরো প্লাজায়। বিশেষ এই ভাস্কর্যের নামকরণ করা হয়েছে ‘R-Evolution’। এটি তৈরি করেছেন মার্কিন শিল্পী মার্কো কোচরেন। ১৫,০০০ কেজি ওজনের এই স্টিলের মূর্তিটি সবথেকে ভালভাবে দেখা যায় রাতের বেলায়। বিভিন্ন রঙের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে এই নগ্ন নারীমূর্তি। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় হালকাভাবে নড়াচড়া করে দেখে যেন মনে হয় মহিলাটি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন।

জানা গিয়েছে, এই মূর্তিটি কোচরেনের ‘ব্লিস প্রোজেক্ট’ সিরিজের শেষ অংশ। যা প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল ২০১৫ সালে ‘বার্নিং ম্যান’ উৎসবে। এটিকে প্লাজায় স্থাপন করার অন্যতম উদ্দেশ্য শহরে পর্যটকদের আগমন বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত করা। তবে এই মূর্তি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কেউ একে শিল্পের নামে অর্থের অপচয় বলছেন। অনেকে আবার বলছেন, ‘শহরের আসল সমস্যা নিয়ে না ভেবে প্রশাসন এই ধরনের ‘আকর্ষণ’ তৈরি করতেই ব্যস্ত।

এক্স হ্যান্ডেলে একজন ব্যবহারকারী লেখেন, ‘সান ফ্রান্সিসকো শহরে এক নগ্ন নারীর ৪৫ ফুট উঁচু মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে পর্যটক টানার জন্য। অথচ শহরটি এখনও একাধিক সমস্যায় জর্জরিত’। অন্য আর এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘পাবলিক আর্ট মানেই টাকার অপচয়’। তবে এই বিশাল শিল্পকর্ম এখন এমবারকাডেরো প্লাজার প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

আলো-আঁধারি সন্ধ্যায় আলোকোজ্জ্বল মূর্তি দেখতে ছুটে আসছেন বহু মানুষ। দর্শনার্থীরা কেউ কেউ একে বলছেন শক্তির প্রতীক, কেউ বা প্রতিবাদের ভাষা। তবে শহরের পার্ক বিভাগ মূর্তির পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। তাদের দাবি, পাবলিক আর্টে নারীর প্রতিনিধিত্ব আজও অত্যন্ত কম—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৮% পাবলিক স্ট্যাচু নারীদের নিয়ে তৈরি। এই মূর্তি সেই বৈষম্যের প্রতিবাদ ও ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা উচিত।