আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ হংকংয়ে বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মৃত অন্তত ৪৪। একের পর এক বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ২৭৯। সংবাদসংস্থা রয়টার্স এই খবর নিশ্চিত করেছে। আবাসনগুলির ভিতরে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে দমকলের আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহজনক তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


দুর্ঘটনাস্থলেই ন’জনের মৃত্যু হয়। আগুনে দগ্ধ অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয় এক দমকলকর্মীরও। অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতার বিচারে এটিকে ‘লেভেল ৫ অ্যালার্ম’ ঘোষণা করা হয়েছে।


প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের পরে ওই আবাসনগুলি থেকে প্রায় ৭০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে তাঁদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই সাতটি আবাসন মিলিয়ে প্রায় ২০০০টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। আটটি ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৪৮০০ লোকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এই বহুতলগুলিতে।


প্রসঙ্গত, গত ১৭ বছরে হংকংয়ে এত বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গেছে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বহুতলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বহুতলগুলির নীচ থেকে উপর প্রায় সবক’টি তলই আগুনে গ্রাসে চলে গিয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টগুলির জানালা দিয়ে আগুনের শিখা বেরোতে দেখা গিয়েছে। গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে ঘন কালো ধোঁয়ায়। দমকলকর্মীরা উঁচু উঁচু মই ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দমকলের ১২৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও তা এখনও পুরোপুরি নেভানো যায়নি বলে শেষ অবধি জানা গেছে। 


জানা গেছে, বুধবার দুপুর নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। আটকে থাকা মানুষদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে ঘটনাস্থলে হাজির ছিল অন্তত ৫৭টি অ্যাম্বুল্যান্স। আগুন লেগেছিল তাই পো–তে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওয়াং ফুক কোর্ট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। ৪৫ মিনিটের মধ্যে একের পর এক বহুতলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।