আজকাল ওয়েবডেস্ক: জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে এক বছরে জাপান থেকে তৈরি হয়েছে ১.৮ কোটি ডিপফেক ছবি। এই সংখ্যাটা চমকে দেওয়ার মত। অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, সংখ্যার ভিত্তিতে জাপানের আগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত। বিশ্বব্যাপী এই ডিপফেক ছবি তৈরির প্রবণতা বর্তমানে অন্যতম গুরুতর সমস্যা। আপাতত ৪১টি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে ডিপফেক ছবি তৈরি করা যায়। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মুলুকে এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫.৯৭ কোটি। ২.৪৫ কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। রাশিয়া এবং জার্মানি যথাক্রমে ১.৭৫ কোটি এবং ১.৬৮ কোটি ভিজিট নিয়ে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে। রিপোর্ট বলছে, জাপানে গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪.১ লক্ষ মানুষ এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন।

 

পরিসংখ্যান বলছে, ৮০% মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেই এই ধরনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন। কোনও ছবি আপলোড করে তা পরিবর্তন করে যৌনতা মূলক ছবি বানিয়ে তা ভাইরাল করে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, চলতি বছর রিপোর্ট হওয়া এই ৪১টি সাইটের অর্ধেকেরও বেশি নতুনভাবে চালু হয়েছে। আমেরিকার এই সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৯৫,৮২০টি ডিপফেক ভিডিও অনলাইনে শনাক্ত করা হয়েছে যা ২০১৯ সালের তুলনায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেশি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অতিমাত্রায় বেড়ে গিয়েছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা। যেখানে বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ডিপফেক নিয়েও বারবার অভিযোগ সামনে এসেছে। সাইবার ক্রাইমের তরফে প্রতিনিয়ত সতর্ক করা হচ্ছে আমজনতাকে।