আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটা প্রেম, তাও আবার হবু শাশুড়ি ও জামাইয়ের মধ্যে! শোনার পর চোখ কপালে ওঠার মতোই ঘটনা। আর তা শুধু শোনাই নয়, বাস্তবেই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার দুবাউলিয়া থানা এলাকায়। পরিবারে বিয়ের তোড়জোড় চলছিল, তার মাঝেই ঘটে গেল এক রোমহর্ষক মোড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার মাস আগে বাস্তির দুবাউলিয়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথা পাকা হয় গোন্ডা জেলার এক তরুণীর। পরিবারে আনন্দের হাওয়া বইছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে, অন্য গল্প লেখার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করে।
তরুণীর মা—অর্থাৎ হবু শাশুড়ি—জামাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা চালাতে শুরু করেন। শুরুর দিকে কেউই সেভাবে কিছু সন্দেহ করেননি। তবে সময়ের সঙ্গে ফোনালাপের সময়সীমা বাড়তে থাকলে ও তাদের আচরণে অদ্ভুত পরিবর্তন ধরা পড়ে। সন্দেহ দানা বাঁধে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
শেষ পর্যন্ত, পুরো ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। মেয়ের পরিবার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে বাতিল করে এবং অন্য পাত্রস্থানে বিয়ে ঠিক করে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, বিয়ের দিনও নির্ধারিত হয়েছিল মে মাসে। কিন্তু বিয়ের ঠিক তিন দিন আগে যা ঘটল, তা যেন সিনেমাকেও হার মানায়—হঠাৎ করেই যুবক এবং তার হবু শাশুড়ি উধাও!
কোথাও খোঁজ না পেয়ে অবশেষে মেয়ের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। দুবাউলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেও এখনো পর্যন্ত হদিশ মেলেনি, কারণ অভিযুক্তদের ফোন বন্ধ।
এই ঘটনা নিছক বিচ্ছিন্ন নয়। কিছুদিন আগেই আলিগড়ে ঘটেছিল এক অনুরূপ কাণ্ড—সেখানেও হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন হবু শাশুড়ি। দুই ক্ষেত্রেই এক অদ্ভুত মিল—প্রেম জমেছিল বিয়ের ঠিক আগমুহূর্তে এবং শেষপর্যন্ত তা পরিণত হয় পালিয়ে যাওয়ার নাটকে। স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেউ বলছেন, “সংসারের ভিত যখনই ভালোবাসার নামে ভাঙে, সমাজ তখন নাড়িয়ে যায়।” পুলিশ জানিয়েছে, “তদন্ত জোরকদমে চলছে। খুব দ্রুত আমরা অভিযুক্তদের খুঁজে বার করব বলে আশাবাদী।”
এই ঘটনা প্রমাণ করল, সম্পর্কের রসায়নে এখন আর বয়স বা সম্পর্কের নাম বড়ো নয়, হঠাৎ এক টানই সব হিসেব ওলটপালট করে দিতে পারে।
