আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্ণাটকের বল্লারি জেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বুধবার সকালে এলাকারই এক পুকুরে আচমকাই ভেসে উঠল এক মহিলার ও তাঁর তিন শিশুসন্তানের মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আত্মহত্যার সম্ভাবনার কথা জানালেও, ঘটনার পেছনের সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা মহিলার নাম সিদ্ধাভ্বা। তিনি মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর জেলার হোসুর চাম্পা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পরিবার মূলত গবাদি পশুপালন এবং চরানোর সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে সিদ্ধাভ্বা ও তাঁর তিন সন্তান নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের পশুগুলি মাঠে ছেড়ে ফেলা অবস্থায় পাওয়া যায়, যা দেখে সন্দেহ হয় গ্রামের বাসিন্দাদের।

বুধবার সকালে বল্লারির কুরুগোড়ু তালুকের ডাম্মুরু গ্রামে একটি খামারের পুকুরে তাঁদের দেহগুলি ভেসে ওঠে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে, সিদ্ধাভ্বার স্বামী সঞ্জয় (৩২), বেলগাভি জেলার হোসুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ঘটনার পরেই সঞ্জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কুরুগোড়ু থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক কোনও কারণ থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যদিও এটা আত্মহত্যা না কি অন্য কোনও অপরাধমূলক কাজ—তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। গত কয়েক মাসে কর্ণাটকে একাধিক এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৬ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর আরএমভি স্টেজ এলাকায় এক পরিবারের চারজন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, দম্পতি তাঁদের দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজে আত্মহত্যা করেন। আবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরে এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী, তাঁদের সন্তান এবং বৃদ্ধা মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অনুমান, ওই ব্যক্তি প্রথমে পরিবারের সবাইকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন। কর্ণাটকে সম্প্রতি একাধিক পরিবারিক আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। পুলিশ জানিয়েছে, বল্লারি কাণ্ডে পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টের পরই ঘটনার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।