আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যযুগীয় বর্বর আচরণের শিকার ৫০ বছর বয়সি এক মহিলা। ডাইনি সন্দেহে তাঁকে অমানুষিক অত্যাচারের অভিযোগ গ্রামেরই এক ওঝা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওঝা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ নভেম্বর, রাজস্থানের বুন্দি জেলায়। আক্রান্ত মহিলা সাহাপুরা জেলার বাসিন্দা। টানা দু'দিন তাঁকে ডাইনি সন্দেহে নির্মম অত্যাচার করা হয়। প্রৌঢ়াকে প্রথমে গাছে বেঁধে, চুল কেটে দেওয়া হয়। এরপর চলে বেধড়ক মারধর। মাঝে মাঝেই গরম লোহার শিকের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে সারা গায়ে। মুখেও কালি লেপে দেওয়া হয়েছিল। টানা দু'দিন মহিলাকে অত্যাচার করে ছেড়ে দেয় ওঝা। তার ধারণা ছিল, এভাবেই মহিলার শরীর থেকে 'অশুভ' আত্মা বিদায় নেবে। 

মহিলা ছাড়া পেতেই ২৭ নভেম্বর থানায় জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি। পরিবারের তরফে এক মিনিটের একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সাহাপুরায় পৌঁছে মহিলাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্রামেই মহিলার ভাগ্নী থাকেন। অভিযোগ ছিল, মহিলার কারণে ভাগ্নীর শ্বশুরবাড়িতে কোনও শান্তি নেই। তাঁদের ধারণা ছিল, মহিলার উপর 'অশুভ' আত্মা ভর করেছে। ভাগ্নীর সংসারে সুখ ফেরাতে মহিলাকে বেঁধে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাও যুক্ত রয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।