আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে আজব কাণ্ড। রীতিমত স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে মহিলা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান তাঁর জনপ্রতিনিধিত্বের অধিকার হস্তান্তর করলেন গ্রামেরই একজন ব্যক্তির কাছে! এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জেলা পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে ওই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছে। 

ঘটনা মধ্যপ্রদেশের মনসা জনপদ-এর অন্তর্গত দাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের। একটি ফটো-কপি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে পঞ্চায়েত প্রধান কৈলাশী বাই কছাওয়া নিজের জনপ্রতিনিত্বের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার গ্রামেরই বাসিন্দা সুরেশ গোড়াসিয়ার কাছে হস্তান্তর করচেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাওয়া ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে যে, পঞ্চায়েত প্রধান কৈলাশি বাই ওই পদে ফিরে না আসা পর্যন্ত, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জলাবদ্ধতা মিশন ইত্যাদির কাজ পরিচালনার পাশাপাশি, শ্রী গোড়াসিয়া একজন পঞ্চায়েত প্রধানের সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এসবব বিষয়ে ওই সময়কালে কৈলাসী বাই কছাওয়া কোনরকম হস্তক্ষেপ করবেন না এবং শ্রী গোড়াসিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী নথিতে স্বাক্ষর করবেন।

দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষরিত নথিতে আরও বলা হয়েছে যে, চুক্তি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিকে চারগুণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে (যদিও চুক্তিতে পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি)।

বিষয়টি জানা হতেই জেলা পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমান বৈষ্ণব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, কৈলাশী বাই- সুরেশ নামে এক ব্যক্তির কাছে পঞ্চায়ে প্রধান হিসেবে তাঁর অধিকার হস্তান্তর করেছেন বলে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। আমান বৈষ্ণব বলেন, "পঞ্চায়েতি রাজ আইনের ৪০ ধারা অনুসারে পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং শনিবারের মধ্যে উত্তর জমা দিতে বলা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর পাওয়ার পর, আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"