আজকাল ওয়েবডেস্ক: গভীর জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল আস্ত কঙ্কাল। কঙ্কালটি এক নিখোঁজ তরুণীর। ইতিমধ্যেই তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। দশ মাস পর রহস্যময় খুনের কিনারা করলেন তদন্তকারীরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের সুরাজপুর জেলায়। ৩৫ বছর বয়সি সীমা পান্ডো দশমাস আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজির পর থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণীর লিভ-ইন পার্টনারকে জেরা করা হয়।
পুলিশি জেরায় চন্দ্রিকা প্রসাদ নামের যুবক স্বীকার করে, সীমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল সে। সন্দেহের বশে সীমাকে খুন করেছিল। খুনের পর দেহটি গভীর জঙ্গলে মাটির নীচে পুঁতে দিয়েছিল। যুবকের সন্দেহ ছিল, সীমা অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। সেই রাগের বশে তাঁকে খুন করে সে। প্রমাণ লোপাটের জন্য মাটির নীচে পুঁতে দেয় দেহটি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমার বাবা গত সাত মাস ধরে নিখোঁজ। তাঁর খোঁজেও চলছে তল্লাশি অভিযান। মেয়ের খুনের পর থানায় অভিযোগ জানাতেই তাঁর বাবার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরপর খুন ও নিখোঁজর ঘটনা ঘিরে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
