আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায়। ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পাকিস্তান আর্টিলারি বন্দুক এবং ড্রোন ব্যবহার করে বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে আক্রমণ আরও জোরদার করার চেষ্টা করে। 

সেই উত্তেজনার সময়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আক্রমণ থেকে অসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য, বেশ কয়েকটি ভারতীয় শহরে ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছিল এবং মানুষকে নিরাপদ থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যদি রাতের অন্ধকারেও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে, তাহলে ব্ল্যাকআউট কেন কার্যকর করা হয়েছিল?

ব্ল্যাকআউট একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা শত্রু দেশ থেকে যুদ্ধবিমান বা ড্রোন হামলার ঝুঁকি থাকলে  বাস্তবায়িত করা হয়। এই সময় শহর বা গ্রামের  সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে বাড়ি-ঘর এবং যানবাহনের আলোও রয়েছএ। সংবেদনশীল এলাকায় সম্পূর্ণ অন্ধকার করে দেওয়া হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হল শত্রুরা যাতে কোনও আলো বা গতিবিধি শণাক্ত করতে না পারে। যার ফলে বোমা হামলা বা অন্যান্য আক্রমণ ব্যাহত হয় তা নিশ্চিত করা যায়।

এই সময় বাড়িঘর, দোকান এবং অফিসের আলো সম্পূর্ণরূপে নিভিয়ে দেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা ব্যতীত যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে কোনও আলো আটকাতে জানালা কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সাইরেন বাজানোর সময় বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুলিশ এবং সামরিক টহল জোরদার করা হয়। সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়।

ব্ল্যাকআউটের সময়, আলো নিভিয়ে দিলে শত্রুপক্ষের ভিডিও ক্যামেরা, নজরদারি ডিভাইস এবং ইনফ্রারেড সেন্সরগুলির লক্ষ্যবস্তু সঠিকভাবে শণাক্ত করতে পারে না। একটি রিপোর্ট অনুসারে, জিপিএস লক্ষ্যবস্তুর সঠিক অবস্থানের তথ্য প্রদান করলেও অন্ধকারে তা স্পষ্ট শণাক্ত করা কঠিন। উপগ্রহগুলি কিছু তথ্য সরবরাহ করতে পারে, তবে রাতে সেগুলির কর্মক্ষমতা সীমিত। এর ফলে শত্রুপক্ষের অসুবিধা হয়।