আজকাল ওয়েবডেস্ক: যতটা তোড়জোড় নিয়ে নিজের কাজ শুরু করেছিল লা নিনা সেখান থেকে সে অনেকটাই পিছিয়ে গেল। ফলে লা নিনা নিয়ে নতুন করে চিন্তার কারণ নেই। মার্কিন আবহবিদরা মনে করছেন যে জোর নিয়ে লা নিনা এবার আসার কথা ছিল সেখান থেকে সে অনেকটাই নিজের জায়গা ছেড়েছে। 

 


বিগত বছরে অনেকটাই নিজের খেলা দেখিয়েছে এল নিনো। সেদিক থেকে দেখতে হলে পরিবেশবিদরা মনে করেছিল এবার লা নিনার প্রভাব অনেক বেশি থাকবে। শীতের প্রভাব অন্যবারের তুলনায় থাকবে অনেকটাই। তবে সকলের চোখে ধুলো দিয়েছে লা নিনা। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে যে শীতের পরশ নিয়ে আসার কথা ছিল তা থেকে বিরত হয়েছে লা নিনা। 


আবহবিদরা মনে করছেন যেভাবে এবারে লা নিনা নিয়ে তারা আশাবাদী হয়েছিলেন তাতে সেখান থেকে শীত এবার অনেক বেশি জোরালো এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কথা ছিল। তবে জানুয়ারির শেষে এসে হয়তো সেখান থেকে এবার আশাভঙ্গ হওয়ার পালা। তবে বিগত বছরে নিজের খেলা ঠিকই খেলেছে এল নিনো। এর প্রভাবে গোটা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমান অনেকটাই বেড়েছে। বেশি বৃষ্টিতে যেমন কৃষকরা খুশি হয়েছেন ঠিক তেমনি তাদের মাথায় হাতও পড়েছে।

 


আবহবিদরা মনে করছেন এবার লা নিনার প্রভাব পড়তে পারে ৬০ শতাংশ। তাই মার্চ মাসের শেষদিক থেকে বিদায় নিতে পারে শীত। সেখানে হয়তো মার্চের শেষদিক থেকেই ফের গরমের ঝলক দেখতে হতে পারে সকলকে। তবে যদি নিজের ১০০ শতাংশ কাজ করত লা নিনা তবে এই পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হত না। ২০২৩-২৪ সালের এল নিনো যেভাবে গরম এবং তারপর বৃষ্টি দিয়েছে সেখানে অনেক বেশি জোরালো হওয়ার কথা ছিল না নিনা। তবে সেদিকে না গিয়ে পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে কিন্তু সঠিক বলে মনে করছেন না সকলে। কারণ যদি লা নিনার প্রভাবে শীত সঠিকভাবে না পড়ে তাহলে সেটা আগামীদিনে বিশ্ব উষ্ণায়নের দিকে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে।