আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবারও দিল্লি খবরের শিরোনামে। মাত্র তেরো বছরের এক কিশোরীকে মদ্যপান করিয়ে গণধর্ষণ। অভিযোগে নামী ব্যাঙ্কের কর্মীসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। দিল্লির রাজা বিহার এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের নাম ঋষভ ও নরোত্তম। জানা গিয়েছে, ঋষভ একজন ব্যাঙ্কের কর্মী এবং নরোত্তম ওই এলাকায় একটি সেলুন চালায়। গত ২০ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা প্রথমে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রাজা বিহারের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে বছর তেরোর ওই কিশোরীকে জোর করে মদ্যপান করানো হয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ওই দুই ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাবার ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিশোরীর বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়েকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডিসিপি হরেশ্বর স্বামী জানান, “তদন্তের স্বার্থে কিশোরীর বয়ান নথিভুক্ত করার সময় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। কিশোরী জানায় যে তাকে কেবল মদ্যপানই করানো হয়নি, তার উপর যৌন নির্যাতনও চালানো হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার পরের দিনই পকসো আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে শ্রীঘরে পাঠানো হয়। পাশাপাশি গোটা ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারও যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, রাজস্থানের উদয়পুরে ভয়াবহ কাণ্ড। এক বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ম্যানেজারকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তাঁকে গাড়িতে তোলা হয়। এরপর এই নৃশংস কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই সংস্থার সিইও, এক মহিলা আধিকারিক এবং তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে একটি জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। রাত দেড়টা পর্যন্ত চলে সেই অনুষ্ঠান। সেখানে মদ্যপান করেন তিনি। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে তাঁর শরীর আচমকা খারাপ লাগতে শুরু করে। তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওই একই সংস্থার অন্য এল মহিলা আধিকারিক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেইমতো একটি গাড়িতে নির্যাতিতাকে তোলা হয়। খবর অনুযায়ী, গাড়িতে আগে থেকেই ছিলেন সংস্থার সিইও এবং ওই মহিলা আধিকারিকের স্বামী।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাঁকে সিগারেটের মতো দেখতে একটি মাদক দ্রব্য দেওয়া হয়। সেটি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি জ্ঞান হারান। পরদিন সকালে হুঁশ ফিরলে তিনি বুঝতে পারেন যে রাতে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। এরপর তিনি পুলিশে খবর দেন।
উদয়পুরের পুলিশ সুপার যোগেশ গোয়েল সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাঁর বয়ান এবং রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হবে।" বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷
