নিতাই দে, আগরতলা: নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এবার নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল। তিনি তাঁর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে মাদক কারবারি ও মাদক সেবনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা পদযাত্রা করলেন।

 রবিবার বিকেলে সূর্যমণি নগর বিধানসভা অন্তর্গত বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাদক কারবারি ও মাদকসেবনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা পদযাত্রা ও পথসভা করেন এলাকার বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল। বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ নেশা ও নেশা কারবারির বিরুদ্ধে এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। যা প্রমাণ করে যে, রাজ্যের মানুষ উন্নয়ন ও স্বচ্ছতার রাজনীতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে জনগণের আস্থা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল বলেন, "ত্রিপুরাকে যারা বিভ্রান্তি, বিশৃঙ্খলা ও লুটপাটের অন্ধকারে ফিরিয়ে নিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আজ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এই লড়াই কেবল রাজনৈতিক নয়- এটা আদর্শের জন্য, একটি সাহসী ও সৎ সমাজ গড়ার জন্য। মাদকমুক্ত ত্রিপুরা গঠনে জনসচেতনতাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।" তিনি আরও বলেন

আরও পড়ুন- ত্রিপুরাতে এবার জন্মদাত্রী মায়ের হাতে ৫ মাসের কন্যা খুন! 

উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ আরও বলেন, "জনতাই আমাদের শক্তি। সেই শক্তির ভরসায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং যাবো। এই যুদ্ধে প্রতিটি নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী করবে।"

ত্রিপুরাকে মাদকমুক্ত করতে প্রশাসন ও জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান উপাধ্যক্ষ। এদিনের কর্মসূচিতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব, সমাজকর্মী, যুব সমাজ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রথম নয়। এর আগেও নেশার বিরুদ্ধে পথে নামেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল। মাদকের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম— এই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তরা অগাস্ট বিকেলে আগরতলার সূর্যমণিনগরে অনুষ্ঠিত হয় এক সচেতনতা মূলক বাইক র‍্যালি। এই নেশা বিরোধী র‍্যালির নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল নিজে। আয়োজিত এই বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন বহু সরকারি কর্মী ও সাধারণ মানুষ। মাদকমুক্ত ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে এই ধরনের কর্মসূচি যে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দেয়, সে কথাই জানান অংশগ্রহণকারীরা।

 র‍্যালির সূচনা পূর্বে রামপ্রসাদ পাল এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেছিলেন, 'নেশা শুধু একজন ব্যক্তির সমস্যা নয়। এটা গোটা সমাজের ক্ষয়িষ্ণুতা ডেকে আনছে। তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে, দলমত নির্বিশেষে, একজোট হয়ে নেশার বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে।'