আজকাল ওয়েবডেস্ক: ত্রিপুরায় সম্প্রতি মর্মান্তিক ঘটনা৷ শহরের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি গোবিন্দ বল্লভ পন্ত (জিবিপি) হাসপাতাল। এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায় রবিবার ভোররাতে। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক রোগীর দুই আত্মীয় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর আচমকা আক্রমণ চালায়। ঘটনা জানাজানি হতেই হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত চিকিৎসক, ডঃ লিটন দাস। তিনি একাধিক আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ তাঁকে চিকিৎসার জন্য ওই একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি বর্তমানে বিপদমুক্ত অবস্থায় রয়েছেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে রবিবার ভোর প্রায় ৩টা ৪৫ মিনিটে। তখন বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবন করা বিমল সরকার নামক এক রোগীকে তাঁর দুই পুত্র, তপন সরকার ও বাপন সরকার, হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ওই দুই যুবক, ডঃ লিটন দাস ও ডঃ অভীক দেব-এর উপর অতর্কিতে হামলা চালান। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জরুরি বিভাগের প্রধান ডঃ শিশেন্দু ধর জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা প্রথমে চিকিৎসকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পরে তাঁদের মারধর করে মাটিতে প্রায় শুইয়ে ফেলে দেয়।
ঘটনাস্থলে চেঁচামেচি শুনে নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে ছুটে আসে। কিন্তু তবুও তাঁরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গভীর উদ্বেগে ফেলেছে।
পুলিশকে ডঃ শিশেন্দু ধর বলেন, 'আমাদের চিকিৎসকরা রোগীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, অথচ তাঁদের ওপর এহেন হিংস্র আক্রমণ হয়েছে। যা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ এতে আমরা হাসপাতালে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন।'
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরে অভিযুক্ত দুই ভাই হাসপাতালে তাঁদের বাবাকে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের উপ-মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডঃ কনক চৌধুরী জানান, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশপাশি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
তিনি আরও জানান, সোমবার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে একটি এফআইআর দায়ের করবেন। বর্তমানে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ দ্রুত এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
