নিতাই দে, আগরতলা: প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রীকে গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন। সঙ্গে খুনি নিজেও তার শ্বাসনালী ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে আত্মহত্যা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর বাজারের প্রাণকেন্দ্রর পোস্ট অফিস রোডে।
কাঞ্চনপুর মহকুমার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা বয়স ২৬ এর ঊর্ধ্বের এক যুবক কার্তিক নাথ আচমকা তানিয়া বড়ুয়াকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। তানিয়ার বাড়ি কাঞ্চনপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। কাঞ্চনপুর দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। গৃহশিক্ষকের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশনে যাওয়ার পথে কিশোরীর উপর হামলা চালায় যুবক। কাঞ্চনপুর পোস্ট অফিসের পাশে কিশোরীর রাস্তা আগলে দাঁড়ান যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ধারাল ছুরি দিয়ে কিশোরীকে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেই সময়েই ঘাতক যুবক নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।
ঘটনা প্রত্যক্ষ করে পথচারীরা সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন। পথচারীদের মধ্যে কেউ থানায় খবর দিলে, তড়িঘড়ি কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ আহত দুইজনকে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্কুলছাত্রী তানিয়া বড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুনি কার্তিক নাথকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। জানা যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টাকে নিয়ে কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্যম দেববর্মার জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্ত চলছে। পরবর্তী সময় হাসপাতাল থেকে দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবার-পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঞ্চনপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
