আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়েবাড়িতে তুমুল হুল্লোড়। নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। বাড়ি ফেরার পথেই ঘটল বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে উল্টে পড়ল গাড়ি। ঘটনাস্থলে মর্মান্তিক পরিণতি তিন শিক্ষকের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক শিক্ষক। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে খয়রনা-কাইঞ্চিধাম রুটে রাতিঘাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। পাহাড়ি রাস্তায় ৬০ মিটার গভীর খাদে গাড়িটি পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম, সঞ্জয় বিষ্ট, সুরেন্দ্র ভাণ্ডারী ও পুষ্কর ভাইসোরা। আহত ব্যক্তির নাম মনোজ কুমার। তাঁরা প্রত্যেকেই আলমোড়ার বাসিন্দা। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। গাড়িটিতে থাকা চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মনোজ কুমার আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

নৈনিতালের পুলিশ সুপার জগদীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, 'শনিবার রাতে স্থানীয়দের থেকে আমরা জানতে পারি খৈরনা-কৈঞ্চিধাম রুটের রতিঘাটে একটি গাড়ি গভীর খাদে পড়ে গেছে। ওই চারজনই সরকারি স্কুলের শিক্ষক। আলমোরা থেকে তাঁরা হালদওয়ানিতে যাচ্ছিলেন। এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন শিক্ষকের।' 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এপ্রিল মাসে এই রাজ্যেই এমন আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ডে। পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে পড়ে গভীর খাদে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় গাড়ির পাঁচজন যাত্রীর। এ ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির যাত্রীরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা সকলেই নিজমুলায় একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। রাতে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। গাড়ির পাঁচ যাত্রীই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।

বিরহি-নিজমুলা সড়কে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারান গাড়ির চালক। তারপরেই সেটি কয়েক মিটার গভীর খাদে হুড়মুড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে যায়। সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। 

জেলাশাসক জানিয়েছেন, সেসময় তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। অন্ধকারের মধ্যে খাদে নামতেও অসুবিধার সৃষ্টি হয় উদ্ধারকারী দলের। সেই জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এদিন বেলা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে‌। পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে স্কুল বন্ধের ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি দুর্ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন তিনি।