আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় রেলের পরিষেবা নেন সারা দেশে প্রত্যেকদিন প্রায় আড়াই কোটি যাত্রী। লোকাল ও দূরপাল্লা মিলিয়ে রোজই প্রায় ১৩,০০০ এরও বেশি ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু এই বিশাল নেটওয়ার্কের মধ্যে, কেবল একটি ট্রেনেই সমস্ত যাত্রীকে বিনামূল্যে খাবার পরিবেষন করা হয়ে থাকে। এই ট্রেনটি হল সচখণ্ড এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ১২৭১৫)। দূরপাল্লার সচখণ্ড এক্সপ্রেস মহারাষ্ট্রের নান্দেদ এবং পাঞ্জাবের অমৃতসরের মধ্যে চলাচল করে। শিখ সম্প্রদায়ের জন্য এই দু'টি শহরই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নান্দেদের শ্রী হাজুর সাহেব গুরুদ্বার রয়েছে। যেখানে দশম শিখ গুরু, গুরু গোবিন্দ সিং জি ১৭০৮ সালে তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। অন্যদিকে অমৃতসরের অবস্থিত পবিত্র শ্রী হরমন্দির সাহেব বা স্বর্ণ মন্দির প্রসিদ্ধ।
বেশিরভাগ ট্রেনের যাত্রীদের খাবার কিনতে হয় বা তাদের নিজস্ব খাবার বহন করতে হয়। তবে সচখণ্ড এক্সপ্রেসের যাত্রীদের স্বাস্থ্যকর, ঘরোয়া খাবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করা হয়। গত ২৯ বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। এই ট্রেনটি প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ ঘন্টার যাত্রাপথে যাত্রীদের বিনামূল্যে নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করে। যাত্রাপথে ৩৯টি স্টেশনে থামে সচখণ্ড এক্সপ্রেস।
যাত্রীদের প্রায়শই তাদের নিজস্ব প্লেট বা পাত্র বহন করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ খাবার নির্দিষ্ট স্টপে পরিবেশন করা হয়। ছয়টি প্রধান স্টেশনে লঙ্গর পরিবেশন করেন। খাবার হিসাবে থাকে, কড়ি-চাওয়াল, ছোলে, ডাল, খিচুড়ি এবং আলু-পাট্টা গোবির মতো সবজি। যাত্রীদের প্রায়শই তাদের নিজস্ব প্লেট বা পাত্র বহন করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ খাবার নির্দিষ্ট স্টপে পরিবেশন করা হয়।
গুরুদ্বার থেকে প্রাপ্ত অনুদানের উপর ভর করে এই লঙ্গরখানা পরিচালিত হয়ে তাকে। স্লিপার ক্লাস থেকে এসি কোচ পর্যন্ত, সমস্ত যাত্রীদের সঙ্গেই সমানভাবে আচরণ করা হয়।
সচখণ্ড এক্সপ্রেস কেবল পরিবহনের একটি মাধ্যম নয় - এটি বিশ্বাস, সেবা এবং সম্প্রদায়ের চেতনার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
