আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। আজও, সোনার বিনিয়োগকে ভালো আর্থিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সরকারের নিজস্ব সোনার খনি রয়েছে। কিন্তু, প্রাকৃতিকভাবেও সোনা মেলে কোথায় জানেন? অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে, তাই না। মানুষের বিশ্বাস যে, ভারতে এমন একটি নদী আছে যার জলে সোনা প্রবাহিত হয়! তবে এই বিশ্বাসের সঙ্গে কোনও পৌরাণিক কাহিনীর যোগ নেই।

এই ভারতীয় নদীকে 'সোনার ভাণ্ডার' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই নদী ৪৭৪ কিলোমিটার বিস্তৃত।

এই নদীর নাম সুবর্ণরেখা। ব্যুৎপত্তিগতভাবে এর অর্থ 'সোনার ধারা'। এই সুবর্ণরেখা নদী ভারতের পূর্ব অংশে ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার কিছু অংশে প্রবাহিত। এই নদীর উৎপত্তিস্থল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ছোট নাগপুর মালভূমিতে অবস্থিত নাগদি গ্রামে।

এই নদীর তলদেশে সর্বদা খাঁটি সোনা পাওয়া গিয়েছে, তবে নদীর উৎস এবং কেন সোনা আছে তা এখনও রহস্য। মনে করা হয় যে, পাহাড়ি অঞ্চলের সঙ্গে সুবর্ণরেখার যোগ রয়েছে বলে এই নদীর তলদেশ থেকে সোনা মেলে। 

নদীটি ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হুন্ড্রু জলপ্রপাত দিয়ে সমভূমি অতিক্রম করে অবশেষে বঙ্গোপসাগরে মিশে গিয়েছে। কেবল সুবর্ণরেখা নদীই নয়, এর উপনদী খারকারি নদীর বালিতে সোনার কণা ধারণ করে।

ভাবছেন কীভাবে এইসব নদী থেকে সোনা উত্তোলন সম্ভব? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছর ধরে এই নিষ্কাশন প্রক্রিয়া চলে। এতে স্থানীয়, আশেপাশের এলাকার আদিবাসীদের কর্মসংস্থান হয় এবং বালি পরিশোধন করতে, নদীর তল থেকে সোনা উত্তোলনে সহায়তা করে। সোনার কণাগুলির আকার ধানের দানার সমান এবং অনেক সময় এর চেয়েও ছোট। নদীর তলদেশে চালুনি দিয়ে বালি ছেঁকে সোনার কণা মেলে।

উল্লেখ্য, টাটানগর শহরটি সুবর্ণরেখা এবং খারকাই নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।